বাগেরহাটে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া খাদ্যসামগ্রী বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন

0

আলী আকবর টুটুল, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটে করোনাভাইরাসে কর্মহীন অসহায় ও মধ্যবিত্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো খাদ্যসামগ্রী রাতে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। হটলাইনে ফোন পেয়ে খাদ্য সামগ্রী বাড়িতে পৌঁছে দেয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কর্মহীন অভাবী মানুষেরা। করোনা পরিন্থিতে কর্মহীন দীর্ঘ হওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো খাদ্য সংকটে পড়েন। না পারছেন খাবার সহায়তা চাইতে ও বলতে। এ বিষয়ে সরকার তাদের জন্য জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করেন। নাম পরিচয় গোপন করে বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিতে হটলাইন ও ফেসবুকে স্ট্যাস্টাস দেওয়া হয়। সেই তালিকা অনুযায়ী রাতের আধারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়। এই খাদ্য সহায়তা পেয়ে খুশি হয়েছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া খাদ্য সামগ্রীর প্রতি প্যাকেটে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, এক কেজি তেল, লবণ, ডাল ও একটি সাবান দেওয়া হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন কর্মহীন থাকার পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন সহায়তা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মধ্যবিত্তরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকেরা জানান, করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে কোনো আয় নেই। ঘরের খাবার শেষ হয়ে গেছে। খাবারের কষ্ট থাকলেও সমাজে অপেক্ষাকৃত একটু ভালো অবস্থানে থাকার কারণে কাউকে বলতে পারি না। জেলা প্রশাসনের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখে ফোন করলাম। তারা জানালেন রাতে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে কাউকে না জানিয়ে। সে অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের গাড়ি এসে রাতেই খাবার দিয়ে গেল। আসলে এই পরিস্থিতিতে খাবার পেয়ে খুবই উপকৃত হলাম। আল্লাহর কাছে দোয়া করি অতিদ্রুত করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। আমরা আগেরমত কাজ করে খেতে পারি। গভীর রাত পর্যন্ত খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেকে ত্রাণ সামগ্রী নিতে সংকোচবোধ করেন। তাই আমরা ত্রাণ প্রদানের জন্য হটলাইন চালু করেছি। হটলাইন নাম্বারে যারা ফোন দেয়, তাদের তালিকা করার জন্য আমাদের স্টাফ রয়েছেন। সেই তালিকা অনুযায়ী রাতের বেলায় কাউকে না জানিয়ে তাদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাকি না হলে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বাগেরহাট জেলায় এ পর্যন্ত ৬৮০ মেট্রিক টন চাল ও ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা ৬৭ হাজার ৯শ পরিবারের মাঝে ৬৭৯ মেট্রিক টন খাদ্যসামগ্রী এবং ৩৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট খাদ্য ও টাকাও বিতরণ করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।