করোনা মোকাবিলায় ‘জাতীয় পরামর্শক কমিটি’ গঠন

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ১৭ জন বিশেষজ্ঞ নিয়ে ‘জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি’ গঠন করেছে সরকার। কমিটির প্রধান করা হয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহকে। এ নিয়ে শনিবার আদেশ আদেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। ১৭ সদস্যের এই কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফোরাকে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ে সরকারকে পরামর্শ প্রদান, হাসপাতাল সেবার মান বৃদ্ধি, কভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংক্রান্ত গবেষণা বিষয়ে পরামর্শ প্রদানসহ কমিটিকে সাতটি কার্যপরিধি। এর বাইরে গত ২৮ মার্চ আটজন জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সরকার যে কমিটি করেছে সেই কমিটি এবং নতুন কমিটি প্রয়োজনবোধে যে কোনো কমিটির এক বা একাধিক সদস্যের সঙ্গে মতবিনিময় করতে পারবেন। নতুন কমিটি চাইলে নতুন সদস্য নিতে পারবে। কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক মাহমুদ হাসান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আর্সনাল।
আছেন প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, অবসটেট্ররিকেল অ্যান্ড গাইনোকলজিকেল সোসাইটি অব বাংলাদেশর প্রাক্তন সভাপতি অধ্যাপক রওশন আরা বেগম, আইসিডিডিআর’বি এর মেটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড রিসার্চ বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ডা. শামস এল আরেফিন এবং জ্যেষ্ঠ এনেসথিওলজিস্ট অধ্যাপক খলিলুর রহমান। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- জ্যেষ্ঠ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়েলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক হুমায়ন সাত্তার, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. গোলাম মোস্তফা, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিটিটের প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক মো. আব্দুল মোহিত। শনিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,১৮৮ জন, এরমধ্যে মৃত্যু ৮৪ জনের।