অব্যবস্থাপনায় বাড়ছে সংক্রমণ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ নানা অব্যবস্থাপনার কারণে দিন দিন সংক্রমণ বাড়ছে করোনাভাইরাসের। ইতিমধ্যেই দেশের ৫৩ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। শুধু ঢাকার ১১৭টি এলাকায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পর করোনা সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে গাজীপুরে। এ ছাড়া নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ হচ্ছে করোনা ছড়ানোর নতুন রুট। নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর করোনার হটস্পট হয়ে ওঠার নেপথ্যেও রয়েছে নানা অব্যবস্থাপনার কারণে সৃষ্ট লকডাউনের শিথিলতা। এ ছাড়া নতুন করে উৎকণ্ঠার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই দুই গ্রামের মারামারির পর লকডাউন উপেক্ষা করে এক বিশাল জানাজায় লাখো মানুষ যোগ দেওয়ায় তৈরি হয়েছে উৎকণ্ঠা। জানাজায় লোকসমাগমের পর স্থানীয় লোকজনের মধ্যে দেখা দিয়েছে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক। বিশ্লেষকরা বলেছেন, স্বাস্থ্য খাত, গার্মেন্ট ও প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়হীনতার জন্যই বাংলাদেশের এই হাল। সেই সঙ্গে জেলায় জেলায় লকডাউন থাকলেও কে শোনে কার কথা। লকডাউন ভেঙে মানুষ অবাধে চলাচল করছে। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিরা এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাচ্ছে, তাই ছড়িয়ে পড়ছে করোনা। এর আগে ইচ্ছামতো ঘুরে বেড়িয়েছেন প্রবাসীরা।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও রাজধানীর অধিকাংশ কাঁচাবাজারে গাদাগাদি করেই মানুষকে কেনাকাটা করতে দেখা যাচ্ছে, যা রোগ বিস্তারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। দেশে মহামারী ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে অবরুদ্ধ অবস্থার মধ্যে ওষুধের দোকান বাদে শুধু কাঁচাবাজারই খোলা রয়েছে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এ সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে না বের হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়নে হিমশিম খাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তদের মধ্যে ঢাকার রয়েছে ৪৪ শতাংশ, নারায়ণগঞ্জে ৩১ শতাংশ, বাকি ২৫ শতাংশ সারা দেশের। আক্রান্তদের সবচেয়ে বেশি ৯৭৪ জন রাজধানীর বাসিন্দা। আক্রান্তের দিক থেকে এর পরের অবস্থানে আছে নারায়ণগঞ্জ। এই জেলায় শনাক্ত হয়েছে ৩৮৬ জন রোগী। তৃতীয় সর্বোচ্চ রোগী গাজীপুরে। এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৩। আর নরসিংদীতে আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ১০৫ জন। মুন্সীগঞ্জে ৩৩ জন। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) বলছে, গাজীপুরে আক্রান্তদের বড় অংশ নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে সম্পর্কিত। নারায়ণগঞ্জের মতো গাজীপুরও ভারী শিল্প ও পোশাকশিল্প অধ্যুষিত এলাকা। ঘনবসতিপূর্ণ এই জেলায় ৩৫ থেকে ৪০ লাখ মানুষের বাস বলে ধারণা করা হয়। এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ ও রাজধানী ঢাকার সঙ্গে গাজীপুরের সীমানা। সংক্রমণ ঠেকাতে ১১ এপ্রিল গাজীপুর জেলা পুরোপুরি লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করা হয়। কিন্তু লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। লকডাউন ঘোষণার পর থেকে বরং সংক্রমণের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। ১১ এপ্রিল পর্যন্ত গাজীপুরে করোনায় আক্রান্ত ১২ জন শনাক্ত হয়েছিলেন। লকডাউন করার পরের পাঁচ দিনে সেখানে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৭০ জন। গাজীপুরে ১৬ মার্চ প্রথম ইতালিফেরত এক ব্যক্তির মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে। তিনি মূলত নরসিংদীর বাসিন্দা। এরপর ২৯ মার্চ গাজীপুরের বারবৈকা এলাকায় আরেকজন শনাক্ত হন। তিনি ইতালিফেরত এক আত্মীয়ের সংস্পর্শে এসেছিলেন। এরপর থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ওই জেলায় নতুন সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। ১০ এপ্রিল আক্রান্ত রোগী বেড়ে হয় ৬। এরপর থেকে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। গাজীপুর জেলার মধ্যে কাপাসিয়া উপজেলায় সংক্রমণের হার বেশি। এই জেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ১৩ জন কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী। ওই উপজেলায় অবস্থিত একটি কৃষিপণ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের ১৭ জন শ্রমিকের মধ্যেও সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া গাজীপুরে চারজন চিকিৎসক, দুজন পুলিশ সদস্য, এক সাংবাদিক এবং পোশাক কারখানার শ্রমিকের মধ্যেও সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে বিদেশফেরতও আছেন আটজন। আক্রান্তদের বয়স ২৫ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে।
আইইডিসিআরের তথ্য অনুযায়ী-ঢাকা সিটিতে ৯৭৪ জন, ঢাকা জেলায় ৪০, গাজীপুর ১৭৩, কিশোরগঞ্জ ৭৭, মাদারীপুর ২৬, মানিকগঞ্জ ৬, নারায়ণগঞ্জ ৩৮৬, মুন্সীগঞ্জ ৩৩, নরসিংদী ১০৫, রাজবাড়ী ৭, ফরিদপুর ৪, টাঙ্গাইল ১০, শরীয়তপুর ৭, গোপালগঞ্জ ২১, চট্টগ্রাম ৩৯, কক্সবাজার ১, কুমিল্লা ১৯, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১১, লক্ষ্মীপুর ২১, বান্দরবান ১, নোয়াখালী ৩, ফেনী ২, চাঁদপুর ৮, সিলেট ৩, মৌলভীবাজার ২, সুনামগঞ্জ ১, হবিগঞ্জ ১, রংপুর ৩, গাইবান্ধায় ১২, নীলফামারী ৯, কুড়িগ্রাম ২, দিনাজপুর ১০, পঞ্চগড়ে ১, ঠাকুরগাঁও ৬, খুলনা ১, যশোর ১, বাগেরহাট ১, নড়াইল ২, চুয়াডাঙ্গা ১, ময়মনসিংহ ২১, জামালপুর ২০, নেত্রকোনা ১৪, শেরপুর ১১, বরগুনা ১০, বরিশাল ২১, পটুয়াখালী ২, পিরোজপুর ৪, ঝালকাঠি ৪, জয়পুরহাট ২, পাবনায় ২, বগুড়ায় ১ ও রাজশাহীতে ৪ জন। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ বুলেটিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের বেশ কিছু এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। সেগুলো হলো- নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকার মিরপুর ও বাসাবো। এ ছাড়া নতুন করে গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও কেরানীগঞ্জে আক্রান্ত বাড়ছে। এসব এলাকায় লকডাউন কঠোর করতে হবে।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাকা মহানগরীর কমপক্ষে ১১৬টি এলাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগী চিহ্নিত হয়েছে। এলাকাগুলোর মধ্যে আছে- আদাবর, আগারগাঁও, আরমানিটোলা, আশকোনা, আজিমপুর, বাবুবাজার, বাড্ডা, বেইলি রোড, বনানী, বংশাল, বানিয়ানগর, বাসাবো, বেগুনবাড়ী, বেগম বাজার, বকশীবাজার, বসিলা, বুয়েট এলাকা, সেন্ট্রাল রোড, চাঁনখারপুল, চকবাজার, ঢাকেশ্বরী, ডেমরা, ধানমন্ডি, ধোলাইখাল, দয়াগঞ্জ, ইস্কাটন, ফরিদাবাগ, ফার্মগেট, গেন্ডারিয়া, গোড়ান, গোপীবাগ, গ্রীন রোড, গুলিস্তান, গুলশান, হাতিরঝিল, হাতিরপুল, হাজারীবাগ, ইসলামপুর, জেলগেট, যাত্রাবাড়ী, জিগাতলা, জুরাইন, কল্যাণপুর, কামরাঙ্গীরচর, কাজীপাড়া, কাওরানবাজার, কচুক্ষেত, খিলগাঁও, খিলক্ষেত, কলতাবাজার, কদমতলী, কোতোয়ালি, কুড়িল, লালবাগ, লক্ষ্মীবাজার, মালিটোলা, মালিবাগ, মানিকদী, মাতুয়াইল, মীরহাজারীবাগ, মিরপুর-১, মিরপুর-৬, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১, মিরপুর-১২, মিরপুর-১৩, মিরপুর-১৪, মিটফোর্ড, মগবাজার, মহাখালী, মোহনপুর, মোহাম্মদপুর, মতিঝিল, মুগদা, নওয়াবপুর, নওয়াবগঞ্জ, নারিন্দা, নাখালপাড়া, নিমতলী, নিকুঞ্জ, পীরেরবাগ, পুরানা পল্টন, রাজারবাগ, রামপুরা, রমনা, রায়েরবাগ, রাজাবাজার, রায়েরবাজার, সবুজবাগ, সদরঘাট, সায়েদাবাদ, সায়েন্স ল্যাব, শাহআলীবাগ, শাহবাগ, শাঁখারীবাজার, শান্তিবাগ, শ্যামপুর, শান্তিনগর, শ্যামলী, শেওড়াপাড়া, শেখেরটেক, সোয়ারীঘাট, সিদ্ধেশ্বরী, শনিরআখড়া, সূত্রাপুর, তেজগাঁও, তেজতুরিবাজার, টোলারবাগ, উর্দুরোড, উত্তরা, ভাটারা এবং ওয়ারী।
নতুন ‘ক্লাস্টার’ : মাদারীপুরের শিবচর, ঢাকার মিরপুর ও বাসাবো এবং নারায়ণগঞ্জ জেলাকে আগেই করোনাভাইরাসের ‘ক্লাস্টার’ ঘোষণা করে আইইডিসিআর। ক্লাস্টার অর্থ যেখানে অল্প দূরত্বে অধিক আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। বাংলাদেশে এখন সামাজিক সংক্রমণ হচ্ছে। বাড়ছে ক্লাস্টারের সংখ্যাও। নতুন করে গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও কেরানীগঞ্জে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ওইসব এলাকায় কঠোর লকডাউন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় : লকডাউন নির্দেশনা অমান্য করে খেলাফতে মজলিশের নায়েবে আমির যুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় গণজমায়েতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, কভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে ছড়ায়। বিশ্বের কোথাও এর কোনো ওষুধ নেই। এ অবস্থায় গণজমায়েত হলে এই রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। গত শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে অনুষ্ঠিত জানাজায় যে গণজমায়েত হলো, এ জন্য এই জেলায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে গেল। শনিবার রাতে জেলা প্রশাসন ওই এলাকার আটটি গ্রাম লকডাউন ঘোষণা করে। জানাজায় লোকসমাগমের পর স্থানীয় লোকজনের মধ্যে দেখা দিয়েছে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেড়তলা গ্রামের একজন শিক্ষক বলেন, সারা দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এ অবস্থার মধ্যে এত বিপুলসংখ্যক লোকসমাগমের দায় কে নেবে? এই মানুষগুলোর মধ্যে দু-চারজনের শরীরেও যদি করোনাভাইরাস থাকে তাহলে কী পরিণতি হতে পারে, আমরা চিন্তা করতে পারি না।
জেলায় জেলায় নতুন সংক্রমণ : নতুন করে ঝালকাঠিতে আরও একজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে তিনি শহরতলি এলাকার বাসিন্দা নারায়ণগঞ্জ ফেরত পুলিশের এসআই। খবর পেয়ে তার বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি ঘর লকডাউন করেছে জেলা প্রশাসন। আর এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ জনে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি সিভিল সার্জন ডা. শ্যামলকৃষ্ণ হাওলাদার এবং ঝালকাঠির এনডিসি আহমেদ হাসান। বগুড়ার ধুনটে করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি শান্তা খাতুন নামের এক রোগী পালিয়ে গেছে। গতকাল ওই রোগী ধুনট হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডের আইসোলেশন থেকে পালিয়ে যায়। তিনি ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের নিত্তিপোতা গ্রামের বাসিন্দা। দিনাজপুরে করোনাভাইরাসে এবার একজন দেড় বছর বয়সের শিশু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দিনাজপুরে গতকাল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১ জন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আবদুল কুদ্দুস। বরিশাল জেলায় নতুন করে আরও ৩ জন রোগীর করোনা পজিটিভ হয়েছে। শনিবার রাতে নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে একজন শেরবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক এবং অপর ২ জন একই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মীর হোসেন মিঠুর গাড়ি চালকসহ নতুন করে ২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এতে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুরে নতুন আরও ৩ জনসহ এ পর্যন্ত ২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কক্সবাজারে এক দিনেই পাওয়া গেল চারজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। এদের তিনজন মহেশখালীর, অন্যজন টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা। চারজনই ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ফেরত বলে জানা গেছে। গতকাল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে করোনাভাইরাস টেস্টে ওই চারজনের রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ পাওয়া যায়। করোনাভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ ঠেকাতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালীর পর এবার উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আজ সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হাটহাজারী উপজেলা লকডাউন থাকবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী এ বিষয়ে ইতিমধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।