লকডাউনের মধ্যে ট্রেনে সিলেটে আসা ৩২ যাত্রী নিখোঁজ!

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে দেশে ট্রেন চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকলেও শনিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকা থেকে সিলেটে আসে একটি ট্রেন। এ ট্রেনে করে রেলের ২২ জন স্টাফসহ ৫৪ যাত্রী এসেছেন সিলেটে। রেলওয়ে স্টেশনের সিসি টিভির ফুটেজ পরীক্ষার পর এ তথ্য পায় জেলা প্রশাসন। রেলের স্টাফদের খোঁজ মিললেও বাকি ৩২ যাত্রীর হদিস মিলছে না; যে কারণে তাদের কোয়ারেন্টিনে নিতে পারছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। আর লকডাউনের মধ্যে যাত্রী পরিবহনের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে দুটি বগিসহ রেলের একটি ইঞ্জিন সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশ করে। রেল থামার পরপরই বেশ কিছু যাত্রীকে নামতে দেখা যায়, যারা প্লাটফর্মে নেমেই দ্রুত স্টেশন ছেড়ে নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে রওয়ানা হন। তাদের কয়েকজন ঢাকা থেকে সিলেটে আসেন বলে সাংবাদিকদের জানান। সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার খলিলুর রহমান জানান,রেলের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নগদ দেওয়া হয়। মূলত মাসের ১ তারিখে তাদের বেতন হয়। দীর্ঘদিনেও বেতন না হওয়ায় ট্রেনটি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন নিয়ে সিলেটে আসে। তিনি জানান, ট্রেনের দুটি বগির মধ্যে একটি ছিল পাওয়ার কার। এবং অন্যটি ছিল-যাত্রী পরিবহনের জন্য। এতে সব মিলিয়ে আসন সংখ্যা ছিল ২৪টি। ঢাকা থেকে ২২ জন স্টাফসহ ৫৪ জন যাত্রী ওই ট্রেনে করে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে আসেন। তিনি দাবি করেন, ট্রেনে একজনও বাইরের যাত্রী ছিল না। রোববার (১৯ এপ্রিল) সকালে ট্রেনটি রেলওয়ের ২৪ জন স্টাফ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দেশে সমালোচনা হচ্ছে। খবর পেয়ে দ্রুত রেলওয়ে স্টেশনে যান সিলেট কালেক্টরেট-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও এনডিসি (নেজারত ডেপুটি কালেক্টর) এরশাদ মিয়া। তিনি সেখানে গিয়ে সিটিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করেন। তিনি জানান, স্টেশনের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে ৫৪ জন যাত্রী স্টেশনে আসে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ভোলাগঞ্জ ও সিলেট স্টেশনে ২২ জন লোকবলের হিসেব দিয়েছে। ট্রেনটিতে ৩০-৩১ জন অতিরিক্ত যাত্রী ছিল। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম রেলপথ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, সিসি টিভির ফুটেজ পরিষ্কার নয়; এ কারণে যেসব যাত্রী নেমেছেন তাদের চেহারা চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। ফলে তাদের খোঁজে বের করা মুশকিল। তাদের বের করতে পারলে কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।