কলারোয়ায় রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী

0

কলারোয়া সংবাদদাতা ॥ কলারোয়ায় রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী হয়েছে। বিশেষ করে আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও শুকনো মরিচের দাম বেড়েছে বেশি। শনিবার সকালে বাজার ঘুরে দেখা গেছে,প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় আর খুচরা ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা। রসুন প্রতি কেজি পাইকারি ৭০ থেকে ৮৫ টাকা, আর খুচরা ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আলু পাইকারি ২০ থেকে ২১ টাকা ও খুচরা ২২ থেকে ২৫ টাকা। শুকনো মরিচের দামও বাড়তি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত একসপ্তাহ ধরে এসব পণ্য তাদেরকে ক্রমাগত বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। সরকারি কলেজ মাঠের কাঁচাবাজারে গিয়ে কথা হয় রাজমিস্ত্রি সুকুমার বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি বলেন,এক সপ্তাহ আগে পেঁয়াজ কিনেছি ৫০টাকা কেজি। তার আগের সপ্তাহে কিনেছি ৩৫ থেকে ৪০টাকা কেজি দরে। শনিবার সেটা ৫৫ টাকায় কিনতে হলো। রসুন কিনলাম ১০০ টাকা কেজিতে। খুচরা ব্যবসায়ী লিটন জানান, তুলনামূলক বেশি দামে নিত্যপণ্য তাদের কিনতে হচ্ছে, তাই সামান্য লাভে সেটা একটু বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, লকডাউনের কারণ দেখিয়ে পাইকারি বাজারে জিনিসের দাম বেশি। তাই আমরাও বেশি দামে বিক্রি করছি। ১৫ দিন আগে শুকনো মরিচের কেজি ছিল ২৫০ টাকা; এখন তা ৪০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। পাইকারি নিত্যপণ্য ব্যবসায়ী পরিতোষ কুমার বলেন, প্রশাসনের কড়াকড়ি থাকায় পরিবহন খরচ গাড়িপ্রতি বেড়েছে প্রায় দুই হাজার টাকা। তারপরও মালের ঘাটতি রয়েছে। চাইলেই পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। তবে, তিনি দাবি করেন অন্য এলাকা থেকে কলারোয়ায় জিনিসের দাম কম। উপজেলা নিবাহী অফিসার (ইউএনও) আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ বলেন, নিত্যপণ্যের ঘাটতি থাকার কথা না। তাছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের যানবাহন ও সরবরাহে কোনো বাধা নেই। ব্যবসায়ীরা এসব অজুহাতে ক্রেতাদের জিম্মি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাজার মনিটরিং কমিটির সঙ্গে কথা বলে দ্রুত অভিযান চালানো হবে বলে তিনি জানান।