যশোরে রাসেল খুনের ঘটনায় যুবলীগ নেতা শহিদসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা,আটক ৩

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামে জেলা বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ রাসেল খুন ও তার ভাইকে কুপিয়ে আহতের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শহিদুজ্জামান শহিদসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন নিহতের পিতা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবু সালেক মৃধা। পুলিশ এ মামলার এজাহারভুক্ত ৩ আসামিকে শুক্রবার আটক করেছে।
যুবলীগ নেতা শহিদুজ্জামান শহিদ ছাড়া এজাহারভুক্ত অপর আসামিরা হচ্ছেন, বালিয়া ভেকুটিয়া মাঠপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে সামিরুল ইসলাম, বালিয়া ভেকুটিয়া মাধঘোপা পাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে পিচ্চি বাবু, বালিয়া ভেকুটিয়ার সিদ্দিকুর রহমান ওরফে শিয়াল সিদ্দিকের ছেলে শাহিন, বালিয়া ভেকুটিয়া শ্মশানপাড়ার শানু ফকিরের ছেলে সোহাগ, সাগর ও সোহেল, দ্বীনছে আলীর ছেলে জনি, মৃত রুহুল আমিনের ছেলে সেলিম, ইদ্রিস আলী ওরফে মাদ্রাজের ছেলে আমির হোসেন, মৃত শাহাদত হোসেনের ছেলে শামীম, বাঁশবাড়িয়া গ্রামের রন্টু মিয়ার ছেলে শান্ত, দুলাল মিয়ার ছেলে আজাদ, মোশারেফ হোসেনের ছেলে আশিক, চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ওমর আলী, বালিয়া ভেকুটিয়ার মিয়ারাজ মোড়লের ছেলে ইমদাদুল হক এমে, বালিয়া ভেকুটিয়া মাধঘোপা পাড়ার মৃত সেকেন্দার আলী সেগুনের ছেলে খায়রুল ইসলাম, আকরাম আলীর ছেলে হাসিব, আবু তাহের ড্রাইভারের ছেলে সবুজ হোসেন, মৃত সলেমান মন্ডলের ছেলে রেজাউল ইসলাম, পাকদিয়া গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে আলমগীর হোসেন, বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মোসলেম সরদারের ছেলে রমজান আলী সরদার, বড় ভেকুটিয়া গ্রামের ইনছার আলীর ছেলে এনামুল এবং বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মতিয়ার রহমান। এছাড়া ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানা পুলিশের ইনসপেক্টর (অপারেশনস) আহসান উল্লাহ চৌধুরী জানান, শুক্রবার এজাহারভুক্ত ৩ আসামিকে যশোরের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়েছে। এরা হচ্ছেন, ওমর আলী, ইমদাদুল হক এমে এবং রেজাউল ইসলাম। এছাড়া মামলার এজাহারভুক্ত অপর আসামিদের আটকের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের দলীয় রেষারেষিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৫ এপ্রিল রাতে বালিয়া ভেকুটিয়া শ্মশানপাড়ায় খুন হন সাব্বির আহমেদ রাসেল । এ সময় আহত হন তার ভাই আল আমিন। নিহত রাসেল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আরবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলামের সাথে রাজনীতি করতেন। অপরদিকে আসামিরা আওয়ামী লীগের এমপি গ্রুপের লোক হিসেবে পরিচিত।