খুলনায় করোনার নমুনা সংগ্রহে অদক্ষতা, ৩ শতাধিক বাতিল

0

খুলনা সংবাদদাতা ॥ খুলনায় করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহকারীদের অদক্ষতার কারণে ৩ শতাধিক নমুনা বাতিল হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে খুলনা মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে স্থাপিত করোনাভাইরাস পরীক্ষার ল্যাবের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্রথম দিকে কিছু সমস্যা হলেও এখন নমুনা সংগ্রহকারীরা দক্ষ হয়ে ওঠায় সমস্যা হচ্ছে না। সূত্র জানায়, ৭ এপ্রিল উদ্বোধনের প্রথম দিন পরীক্ষার জন্য বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ১২টি নমুনা পিসিআর মেশিনে বসানো হয়। পরদিন ১০টি বাড়িয়ে ২২টি করা হয়। আর গত বৃহস্পতিবার ৩৪টি, শুক্রবার ৩৭টি, শনিবার ২২টি ও রোববার ২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া, সোমবার ৪৩টি ও মঙ্গলবার ৬০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ওই নমুনার মধ্যে চারটিতে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। পরীক্ষাগারে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা বলছেন, ‘প্রথম দিকে প্রায় প্রতিটি নমুনাই ছিল ত্রুটিপূর্ণ। তবে সংগ্রহকারীদের সংগ্রহের পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার পর এখন কিছুটা ভালো পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিদিনই বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে নমুনা আসছে। তবে সেসব নমুনার অধিকাংশই ত্রুটিপূর্ণ। সঠিক পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে মাত্র ২০ শতাংশ। ৬, ৭ ও ৮ এপ্রিলের পাওয়া বেশির ভাগ নমুনাই নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে তিনশ’র মতো নমুনা বাতিল করতে হয়েছে।
পরীক্ষাগারের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট মো. সেলিমুজ্জামান বলেন, ‘বিভিন্ন স্থান থেকে ল্যাবে প্রতিদিন ৬০-১০০টি পর্যন্ত নমুনা আসছে। তবে নমুনা শতভাগ সঠিকভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে না। ২০ শতাংশ নমুনা কিছুটা ভালো মানের। অন্যগুলোর মান একেবারেই ভালো নয়। এ কারণে অনেক নমুনা বাদ দিতে হচ্ছে।’ করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহকারীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। পরীক্ষাগারের দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম তুষার আলম বলেন, ‘খুব বেশি নমুনা স্টকে নেই। তবে প্রথম দিকে যেসব নমুনা পাওয়া গিয়েছিল, তার বেশির ভাগই ছিল ত্রুটিপূর্ণ। এ কারণে অনেক নমুনা বাদ দিতে হয়েছে।’ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘প্রথম দিকে পাওয়া নমুনাগুলোর বেশির ভাগই ছিল ত্রুটিপূর্ণ। তবে ওই সমস্যা অনেকটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। নমুনা সংগ্রহকারীদের কয়েকবার অনলাইনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, এখন সমস্যা হবে না।’