যশোরে স্কুল থেকে চুরি যাওয়া ১০টি ল্যাপটপ উদ্ধার, আটক ২

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর সদর উপজেলার চান্দুটিয়া গ্রামের সিএজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে চুরি যাওয়া ১০টি ল্যাপটপ গত মঙ্গলবার ভোরে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সাথে জড়িত সাগর হোসেন ও সবুজ হোসেন নামে দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হলে আটক দুজনের মধ্যে সাগর হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শম্পা বসু তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। আটক সাগর হোসেন সদর উপজেলার ছোট গোবিন্দপুর গ্রামের খালপাড়ার মৃত আব্দুল গাজীর ছেলে এবং সবুজ হোসেন আরিচপুর গ্রামের বাওড় কান্দার মৃত বাবর আলীর ছেলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানা পুলিশের এসআই মাহবুব আলম জানান, চান্দুটিয়া গ্রামের সিএজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি মহামারি করোনার ভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে। তবে গত ৯ এপ্রিল সকালে অফিসিয়াল কিছু কাজ করার জন্য প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নানসহ আরো কয়েকজন শিক্ষক কর্মচারীসহ বিদ্যালয়ে যান। পরে কাজ শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা বাড়ি ফিরে যান। এরপর গত ১২ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্কুলে তারা ফের বিদ্যালয়ে আসেন। এ সময় তারা দেখতে পান বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের কপসিবল গেটের তালা ভাঙ্গা। ভেতরে থাকা ১০টি ল্যাপটপ ও ৫টি মাউস নেই। যার মূল্য ৫ লাখ ২ হাজার টাকা। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান ১৩ এপ্রিল অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। তিনি জানান, গত ১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছোট গোবিন্দপুর গ্রামে সাগর হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালান। এ সময় সেখান থেকে তাকে আটক এবং তার ঘর থেকে চুরি যাওয়া ১০টি ল্যাপটপ ও ৫টি মাউস উদ্ধার করা হয়। পরে সাগর হোসেনের স্বীকারোক্তিতে চুরির সাথে জড়িত সবুজ হোসেনকে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়। বুধবার আটক দুজনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সাগর হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে আদালত দুজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। পুলিশ জানায়, আটক সাগর হোসেনের ওই বিদ্যালয়ের সামনে একটি কম্পিউটারের দোকান আছে। মাঝে মধ্যে তিনি বিদ্যালয়ের কস্পিউটার মেরামতের জন্য সেখানে যাতায়াত করতেন। এছাড়া এ মামলায় অপর আটক সবুজ হোসেন যশোর সরকারির এমএম কলেজের ছাত্র।