কালিয়ায় বাড়ি লকডাউনের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ

0

নড়াইল অফিস ॥ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাগুডাঙ্গা গ্রামে ইউএনওর স্বেচ্ছাসেবক পরিচয়ে বাড়ি লকডাউনের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী বাগুডাঙ্গা গ্রামের রেজাউল সরদার (৫৫) মঙ্গলবার রাতে তিনজনের নাম উল্লেখ করে নড়াগাতি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বাগুডাঙ্গা গ্রামের মৃত লাল মিয়া সরদারের ছেলে রিজাউল সরদার ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানির গাড়িচালক হিসেবে চাকরি করেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার কর্তৃক ছুটি ঘোষণার পর গত ২৪ মার্চ তিনি গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। ঢাকা থেকে তার বাড়িতে আসার ঘটনাকে পুঁজি করে গত ১০ এপ্রিল নিজেদেরকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কার্যক্রমে সরকার কর্তৃক নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পরিচয় দেয় উপজেলার বাগুডাঙ্গা গ্রামের মৃত কওছার শেখের ছেলে সাজেদুল ইসলাম শোভন, কলাবাড়িয়া গ্রামের ইখলাছ সরদারের ছেলে রিয়াজ ও ডুমুরিয়া গ্রামের ফেলু শেখের ছেলে পারভেজ শেখ। তারা রেজাউলকে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করে। তিনি তার সুস্থতা ও ঢাকা থেকে ফেরার দিন জানালেও কথিত ওই তিন স্বেচ্ছাসেবক তাকে তাদের কথামত চলতে বাধ্য করতে চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে রেজাউলের কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। এরপর তারা নিজেদেরকে ইউএনওর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দাবি করে রেজাউলকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়া, মোবাইল কোর্টে সাজা দেয়া ও বাড়ি লকডাউনের ভয় দেখিয়ে দু হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি ৮ হাজার টাকা না পেয়ে কথিত ওই স্বেচ্ছাসেবকরা রেজাউলকে নানারকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। রেজাউলের ব্যাপারে তারা কালিয়ার ইউএনওর কাছে ঘটনাটি জানালে তিনি (ইউএনও) ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গত ১২ এপ্রিল রেজাউলের বাড়িতে যান। বিষয়টি ইউএনও যাচাই করে ঘটনার সত্যতা না পেয়ে ফিরে চলে আসেন। এরপরও কথিত স্বেচ্ছাসেবকরা চাঁদার দাবিতে রেজাউলকে নানা প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। কালিয়ার ইউএনও মো. নাজমুল হুদা বলেন, আমি কাউকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগ করিনি। রেজাউলের বাড়ি গিয়েছিলাম। তাকে সুস্থ দেখা গেছে। অভিযুক্ত সাজেদুল ইসলাম শোভন, রিয়াজ ও পারভেজ শেখ জানায়, তারা রেজাউল সরদারকে কোন ভয়ভীতি প্রদর্শন করেনি এবং চাঁদাও চায়নি। এ ব্যাপারে নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকসানা খানম বলেন, বাগুডাঙ্গা গ্রামে বাড়ি লকডাউনের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।