সময় থাকতে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় পদক্ষেপ নিন

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ সময় থাকতে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী। বুধবার (১৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আজ সকালে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দীন ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে মারা যান। তিনি কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী প্রথম চিকিৎসক।’ ‘বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, ডা. মঈন উদ্দীন ঢাকায় আসার জন্য একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স চেয়েও পাননি। অবশেষে তার পরিবার এবং সহকর্মী চিকিৎসকদের সহযোগিতায় একটি প্রাইভেট আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স সহযোগে তাকে ঢাকায় এনে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে মুবিনুল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘এ পর্যন্ত প্রায় ১০০ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৫ জন ডাক্তার। ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা এদেশে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই তাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সামগ্রীর জন্য দাবি জানিয়ে এসেছেন। কিন্তু সরকার কর্ণপাত করেনি। তাদের বিনা নিরাপত্তায় চিকিৎসা দিতে একরকম বাধ্য করা হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ও অবস্টেট্রিক বিভাগের একজন চিকিৎসক কোভিড পজেটিভ ধরা পড়ার পরও অন্য সকল ডাক্তারকে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়নি। এখন সেখানে তিনজন পজেটিভ। এদের মাধ্যমে হয়তো অনেক ডাক্তার ও রোগীর মাঝে ইতোমধ্যে রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা চাইছেন না, কিন্তু তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সাধারণ প্রটোকলও মানা হচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর জন্য নির্ধারিত কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সরা খাবারের সংকটে ভুগছেন। থাকার জায়গায় একরুমে একাধিক এমনকি ৬-৭ জন করেও থাকছেন। অথচ সংক্রমণজনিত নিরাপত্তার জন্য একরুমে একজনের থাকার কথা। রাজধানী ঢাকায়, যেখানে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি, সকল উচ্চপদস্থ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যেখানে বাস করেন, সেখানে করোনা সংক্রমণের চিকিৎসা দেয়ার জন্য নির্ধারিত ছয়টি হাসপাতালের একটির অবস্থা যদি এই হয়, তাহলে দেশের বাকি হাসপাতালগুলোর অবস্থা নিয়ে বেশি প্রত্যাশা করা উচিত নয়। প্রত্যন্ত অঞ্চল, মফস্বল শহর এমনকি বিভাগীয় শহরে ডাক্তার ও স্বাস্থকর্মীরা প্রায় কোনো নিরাপত্তা ছাড়াই এই সংকটের দিনে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই সময় থাকতে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় পদক্ষেপ নিন।’