বিশ্ব করোনা গুজবের মহামারিতেও ভুগছে : জাতিসংঘ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ মহামারি করোনাভাইরাসে নাকাল গোটা বিশ্ব। আতঙ্কগ্রস্ত বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। সেই সুযোগে নানারকম গুজবও ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস নিয়ে। গুজবের বিষয়টিকে মহামারি বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন বিশ্ব গুজবের মহামারিতেও ভুগছে। বিষয়টিকে তিনি ‘মিসইনফো-ডেমিক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো এসব গুজবকে তিনি ‘বিষ’ এর সঙ্গে তুলনা করেছেন। যেটা মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।
করোনাভাইরাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইন্টারনেটে নানারকম স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেশ ছড়ানো হচ্ছে। যেটার কোনো ভিত্তি নেই। উদাহরণস্বরূপ তিনি ‘সাপের তেলে’ করোনা সারে এই ধরনের ভয়ঙ্কর গুজবের কথাও উল্লেখ করেন। আর এসব বিষয়গুলোকে তিনি ‘ওয়াইল্ড কন্সপাইরেসি থিওরি’র সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সংগঠক, সাংবাদিক ও অন্যান্যদের আহব্বান জানান এসব গুজব রুখে দিতে ও সঠিক তথ্য মানুষকে জানাতে। যাতে বিশ্বব্যাপী গুজব ও মিথ্য তথ্যকে কেন্দ্র করে ঘৃণা, হানাহানি না ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
গুতেরেস বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মানুষ করোনাভাইরাস নিয়ে খুবই আতঙ্কিত ও ভয়গ্রস্ত। তারা জানতে চায় এমন মহামারির সময়ে কি করতে হবে। কোথায় গেলে সঠিক উপদেশ পাওয়া যাবে। সময়টা এখন বিজ্ঞান ও সংহতির। যদিও বিশ্বব্যাপী গুজবের মহামারিও ছড়াচ্ছে। ক্ষতিকর স্বাস্থ্য উপদেশ, সাঁপের তেলে রোগ সারে এমন ভয়ঙ্কর তথ্যও ছড়ানো হচ্ছে। মিথ্যা তথ্য, মিথ্যা ঘটনা বাতাসে ভাসছে। ওয়াইল্ড কন্সপাইরেসি থিওরি ইন্টারনেট জগতকে বিষাক্ত করছে। ঘৃণা বাড়ছে, নিন্দা ও মানহানি মানুষ ও গোত্রের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। এই গুজবের মহামারির বিরুদ্ধেও বিশ্বকে একত্রিত হতে হবে।’ সবাইকে এগিয়ে আসার আহব্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ধন্যবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সংগঠক ও সাংবাদিকদের। যারা এসব স্পর্শকাতর ও হিংসা-বিদ্বেষ ছড়ানো ঘটনাগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করছে। সত্যতা তুলে ধরছে। এগুলো নির্মূল করতে সোস্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।’ জাতিসংঘের মহাসচিব মনে করেন সাধারণ জ্ঞান ও নিজের বিবেক বুদ্ধি কাজে লাগানোর মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জেতা যাবে। এর মধ্য দিয়ে একটি স্বাস্থ্যকর, ন্যায়সঙ্গত, প্রাণোচ্ছ্বল ও স্থিতিস্থাপক বিশ্ব গড়ে তোলা যাবে। বিশ্বের ২১০টি দেশ ও আন্তর্জাতিক অঞ্চলের ১৯ লাখ ৯১ হাজার ৭৯৯ জন মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ১৯ জন। করোনার সঙ্গে লড়াই করে সেরে উঠেছে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৮৭ জন।