ক্রেডিট কার্ডের বকেয়া বিলে ‘সুদ নয়’

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে নির্ধারিত তারিখে ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ করতে না পারলে তার ওপর কোনো জরিমানা করা যাবে না। জানা গছে, ক্রেডিট কার্ডের বিলের ওপর ১৪ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা সুদ আরোপ করে ব্যাংকগুলো। পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৫ মার্চ থেকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত সুদ ধার্য না করতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বুধবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়েছে।
ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেনাকাটায় ৪৫ দিন পর্যন্ত বিনা সুদে বিল পরিশোধের সুযোগ থাকে। কিন্তু ৪৫ দিনের পর দিন পার হয়ে গেলে বিলের ওপর কেনাকাটার প্রথম দিন থেকেই উচ্চহারে সুদারোপ করে ব্যাংক। এই সুদ হার চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকে। ব্যাংক ভেদে সুদের হার সর্বনিম্ন ১৪ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ পর্যন্ত হয়ে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জরিমানা মওকুফ করলেও ব্যাংকগুলো সুদ আরোপের সুযোগ নেয় ব্যাংকগুলো। বিল দেয়ার ইচ্ছা থাকলেও ব্যাংক খোলা না থাকা এবং যাতায়াতের ব্যবস্থা সীমিত থাকায় গ্রাহকরা বিল দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। গ্রাহকদের এই অবস্থার সুযোগ নিয়ে উচ্চ সুদ আরোপের সুযোগ পায়।
সার্কুলারে বলা হয়, কোনো কোনো ব্যাংক অপরিশোধিত ক্রেডিট কার্ড বিলের ওপর মাসিক ভিত্তিতে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ আরোপ করছে। এর ফলে গ্রাহক কর্তৃক অতিরিক্ত দান করতে হচ্ছে, যা সংকটময় পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই কাম্য নয়। ১৫ মার্চ থেকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডের বিলের ওপর দৈনিক বা মাসিক ভিত্তিতে চক্রবৃদ্ধি হারে আরোপ না করার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো। ১৫ মার্চের পর যদি কোনো ব্যাংক সুদ আরোপ করে থাকে, তাহলে তা ফেরত দেয়ার বা সমন্বয় করার নির্দেশ প্রদান করা হলো। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনা চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী এ নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে গত ৪ এপ্রিল এক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ১৫ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডের বিল জমা দিতে দেরি হলে তার জন্য জরিমানা, দণ্ড, দণ্ড সুদ অতিরিক্ত চার্জ বা ফি যে নামেই হোক তা নেয়া যাবে না। যদি কোনো ব্যাংক দিয়ে থাকে তাহলে তা ফেরত দিতে হবে।