যে তিনটি গুণে ধোনী অন্য সবার থেকে আলাদা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে শুরুর পর, চার বছরের ব্যবধানে ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতেন ধোনী। ২০১৩ সালে তাঁর হাতে উঠে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পুরস্কার। রঙিণ পোশাকের সাফল্যর পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটেও ধোনী অতুলনীয়। ভারতকে দীর্ঘ সময় রেখেছেন টেস্ট নম্বর ওয়ান র‌্যাঙ্কিংয়ে। শুধু জাতীয় দল নয় ঘরোয়া ক্রিকেটেও ধোনী মাস্টারমাইন্ড। আইপিএলের শিরোপা জিতেছেন চারবার। রানার্সআপ হয়েছেন তিনবার। ২২ গজে তাঁর সাফল্যর কোনো কমতি নেই। দলগত অর্জনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত খাতাও টইটুম্বুর। কোনো কমতি নেই। এজন্যই ভারতীয় ক্রিকেট বোদ্ধারা তাকে মনে করেন একজন পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেটার। খেলার মাঠে তিনটি গুণ তাকে করেছে অন্য সবার থেকে আলাদা। কোন তিনটি গুণে ধোনী এগিয়ে?
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড় মাইকেল হাসি ইএসপিএনকে এক ভিডিও সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে উঠে আসে ধোনীর প্রসঙ্গ। আইপিএলে ধোনীকে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন। ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করে ধোনীকে খুব কাছ থেকে জেনেছেন হাসি। তাইতো তাকে মূল্যায়ন করতে হাসি ছিলেন উদার। হাসি বলেছেন, ‘মানসিক ক্ষমতা, শীতলতা এবং শক্তি; এ তিনটি গুণ ধোনীকে অন্য সবার থেকে আলাদা করেছে। ও খুব ভালো করে জানত, যখন ছক্কার দরকার তখন ভালোভাবে আদায় করতে পারবে। আমার মতে এ কারণেই সে সর্বকালের সেরা।’ হাসির মতে, ধোনী হচ্ছেন সর্বকালের সেরা একজন ফিনিশার। স্বদেশী মাইকেল বেভানকেও তিনি ধোনীর পেছনে রেখেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে হাসি বলেন, ‘আমার মনে ও সর্বকালের সেরা ফিনিশার। হয়তো এটা নিয়ে অনেক বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু যে সমস্ত ম্যাচ যে সব জায়গা থেকে বের করে এনে ও জিতিয়েছে, সেসব ম্যাচ জেতানোর জন্য যে মানসিকতা দরকার তা শুধুমাত্র ধোনীরই আছে। প্রতিপক্ষকে বিবর্ণ করে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। প্রতিপক্ষ অধিনায়ককে ভাবাতে শুরু করে কাকে দিয়ে সে বোলিং করাবে।’ ধোনীর একটি দর্শণ খুব পছন্দ হাসির, ‘শেষ পর্যন্ত ম্যাচ নিয়ে যাওয়া, এটা ধোনীর অন্যতম বড় প্রতিভা। এটা অনেকের মধ্যেই নেই। পাশাপাশি অনেক ফিনিশারের মধ্যে শক্তির অভাব রয়েছে। কিন্তু ধোনী এ জায়গায় সেরা। ও জানে ওর ব্যাট থেকে যে শটটা হবে সেটা বাউন্ডারির বাইরে যাবে।’