টাকা ছাপানোর সময় এখনও আসেনি: সিপিডি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ করোনা ভাইরাসের ফলে আর্থিক ক্ষতি মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশে নতুন করে টাকা ছাপানোর অবস্থা সৃষ্টি হয়নি বলে মনে করছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। তবে প্রয়োজন হলে সীমিত সময়ের জন্য নতুন টাকা ছাপানো যেতে পারে বলে অভিমত এই বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির। সোমবার ‘কোভিড-১৯ – সরকার গৃহীত পদক্ষেপ সমূহের কার্যকারিতা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও আয় নিরাপত্তা : সিপিডি’র প্রাথমিক বিশ্লেষণ ও প্রস্তাব’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ অভিমত দেয়া হয়।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, আমাদের মনে হয় টাকা ছাপানোর এখনো সময় আসেনি। আমরা এমন একটা অবস্থায় পড়েছি সরবরাহের ক্ষেত্রে ডিপ্রেশন রয়েছে, মানুষের চাহিদা নেই। এখন মানুষের হাতে টাকা দিলে, বাজারে যদি জিনিসপত্র না থাকে তাহলে মুল্যস্ফীতি হবে। টাকার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক তারল্য বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পলিসি সাপোর্ট দিচ্ছে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, ইসলামিক ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন প্যাকেজ ঘোষণা করছে। আমরা তাদের কাছ থেকে সাহায্য আনতে পারি। সুতরাং টাকা ছাপানোর আগে অনেক চিন্তাভাবনা করতে হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্যাকেজ অর্থনীতির গতি বাড়তে সহায়ত করবে বলে জানান তিনি। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির সম্মানিত ফেলো মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখনও পর্যন্ত সরকার বিভিন্নভাবে তারল্য বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে কিন্তু নতুন টাকা ছাপানোর দিকে যেতে হতে পারে। আমরা জানি সাধারণ সময়ে এটা মূল্যস্ফীতির জন্ম দেয়। কিন্তু এখন যেহেতু আমারা জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করছি, সেটার জন্য প্রয়োজন হলে সীমাবদ্ধ সময়ের জন্য নতুন টাকা ছাপানোর ক্ষেত্রে যেতে হবে। আমরা যদি অর্থনীতির সরবরাহ ঠিক রাখতে পারি তাহলে টাকা ছাপানো সে ধরনের বড় মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি করার কথা না।
জরুরি সময়ে টাকা ছাপানো যেতে পারে এমন অভিমত দিলেও তিনি এই মুহূর্তে টাকার সরবরাহের জন্য বিকল্প পথগুলো ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, আমাদের এখন অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে রাজস্ব প্রণোদনা এবং মুদ্রানীতির মাধ্যমে অর্থ সরবরাহের ব্যবস্থা করার। এখনও সরকারের হাতে বিভিন্ন উপকরণ আছে। আমরা দেখেছি ১ শতাংশ সিআরআর কমানো হলে ১২ হাজার কোটি টাকার মতো তারল্য বাড়ে। এ ধরনের উপদান এখনো সরকারের হাতে আছে। স্বাস্থ্যখাতের জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতের সংকট যত ঘণীভূত হবে, আর্থিক খাতের সংকট ততো ঘণীভূত হবে। সুতরাং স্বাস্থ্য খাতকে এখন অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্য খাতের জন্য ২৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, এটাকে আরও বাড়াতে হবে। আমি মনে করি ২৫০ কোটি টাকার যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা অপ্রতুল।