ঝিকরগাছার নিশ্চিন্তপুর গ্রামকে করোনামুক্ত রাখতে কমিটি গঠন

0

ঝিকরগাছা (যশোর) সংবাদদাতা॥ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামকে করোনা ভাইরাস মুক্ত রাখার জন্য একদল যুবকের নিরন্তর ছুটে চলা। গ্রামের যে জায়গায় সমস্যা সেখানেই গিয়ে প্রতিরোধ। টিম আকারে বাড়িতে বাড়িয়ে যেয়ে এবং মসজিদে মুসাল্লিদের করোনা ভাইরাস সম্পর্কে বোঝানো। অবহেলিত মানুষদের মাঝে মাক্স বিতরণ সহ বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা কওে যাচ্ছেন তারা। নির্বাসখোলা ইউনিয়ন মানচিত্রের ছোট্ট একটি জায়গা নিয়ে অবস্থান করেছে নিশ্চিন্তপুর গ্রাম। এই গ্রামের প্রায় আড়াই হাজার মানুষ বসবাস করে। যার প্রায় অর্ধেক নারী ও অর্ধেক পুরুষ। মহান মুক্তিযুদ্ধেও এই গ্রামের কয়েকজন মানুষ সামনে থেকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই গ্রামের একটি ঐতিহ্য ছিল একতা। কিন্তু কালের আবর্তে রাজনৈতিক ধারায় সেই একতা অনেকটা ক্ষীণ হয়ে গেছে। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের যুবকরা চাই সেই পুরাতন ঐতিহ্য ফিরেয়ে আনতে। গ্রামের মানুষকে এক কাতারে এনে মিলেমিশে বসবাস করতে। বর্তমানে সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ব্যাপক প্রস্ততি গ্রহণ করেছে। সরকারের প্রস্তুতিতে সারা দিয়ে নিশ্চিন্তপুর গ্রামের যুবক ছাত্ররা গ্রামকে করোনা ভাইরাস মুক্ত রাখার জন্য একমত পোষণ করে রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। জানাগেছে, গ্রামের ‘অস্তিত্ব’ সংগঠনের ব্যানারে ওহিদুল ইসলাম পলাশ, রাসেল কবীর ও মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে গ্রামের কয়েকজন মুরুব্বিকে উপদেষ্টা করা হয়েছে। গ্রামের উদীয়মান নেতৃত্বে আসার মত যুবকদের নির্দেশক, ডা. তৌহিদুর রহমান বাপ্পি (এমবিবিএস) কে প্রধান করে একটি মেডিকেল টিম এবং তিন গ্রুপে প্রায় ২৫ জন যুবক ছাত্রকে সদস্য করে একটি কমিটি করা হয়েছে। এই যুবকরা ইতিমধ্যে গ্রামের অবহেলিত যাদের বয়স ৬০ বছরের উর্ধ্বে তাদেরকে মাক্স প্রদান করেছেন। প্রতিদিন সন্ধ্যার টিম আকারে সামাজিক ও শারিরিক দুরত্ব বজায় রাখতে গ্রামের মানুষের বাড়িতে বাড়িতে যান এবং তাদেরকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করেন। গ্রামের যারা বিদেশ, ঢাকা কিম্বা অন্য কোন জেলা থেকে বাড়ি ফিরেছে এবং গ্রামে বাইরের কোন মানুষ আসলে এই কমিটির সদস্যরা সেখানে যান এবং সার্বিক বিষয়ে নির্দেশনা দেন। এ ব্যাপরে কথা হয় কমিটির তিন দলনেতা ওহিদুল ইসলাম পলাশ, রাসেল কবীর ও মেহেদী হাসানের সাথে। তারা জানান, সরকার ব্যাপকভাবে চেষ্টা করছে, সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখা ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাচলের জন্য কিন্তু সাধারন মানুষ কোন কথা শুনছে না। আসলে গ্রামের সাধারন মানুষ করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে কোন ধারনা নেই। তাই সাধারন মানুষকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জানানো, কি করতে হবে এবং কিভাবে এই ভাইরাসের হাত থেকে আমরা বাঁচতে পারি সেই বিষয়গুলো আমরা বোঝানো চেষ্টা করছি এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি। যাতে করে আমরা গ্রামকে করোনা ভাইরাসমুক্ত রাখতে পারি।