করোনা মোকাবেলায়: চৌগাছায় স্বেচ্ছায় লকডাউন ১৫ গ্রাম

0

এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর)॥ যশোরের চৌগাছায় উপজেলায় ১৫ টি গ্রাম নিজ উদ্যোগে লকডউন ঘোষণা করেছেন। করোনা মহামারি থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে গ্রামে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার প্রবেশ পথ বাঁশ-দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের চাঁদপাড়া গ্রামবাসী প্রথমে এ গ্রামকে নিজেদের উদ্যোগে লকডাউন ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তারা গ্রামের বৃত্তবানরা কর্মবিমুখ হয়ে বাড়ীতে থাকা ৩’শ গরীব পরিবারের বাড়ী বাড়ী খাদ্যসামগ্রী পৌছিয়ে দেওয়ার ঘোষনা দেন। এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করোনা আপদ কালিন সময়ে চলমান থাকবে। এদিকে করোনা মোকাবেলায় গত কয়েকদিনে উপজেলার সদর ইউনিয়নের লস্করপুর, পৌর এলাকার বিশ্বাসপাড়া, কয়ারপাড়া, বেড় গোবিন্দপুর, পাঁচনামনা, স্বরুপদাহ ইউনিয়নের স্বরুপদাহ গ্রাম, জলকা মাধবপুর, নারায়ণপুর ইউনিয়নের নারয়ণপুর, পাতিবিলা ইউনিয়নের, ছোট নিয়ামতপুর, বড় নিয়ামতপুর, জগদিশপুর ইউনিয়নের জগদিশপুর, জামিরা, হাকিমপুর ইউনিয়নের হাজিপুর, পাশাপোল ইউনিয়নের বাড়িয়ালিসহ উপজেলায় মোট ১৫ টি গ্রামের প্রবেশ পথ বন্ধ করে লকডাউন ঘোষণা করেছে গ্রামবাসী।
এ সব গ্রামের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে ব্যানার, ফেস্টুন, বাঁশের বেড়া ও লাল পতাকা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। লিখে দেওয়া হয়েছে লকডাউন চলছে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। এলাকাবাসী ঘোষনা করেছেন প্রয়োজন ছাড়া কাউকে প্রবেশ ও বাহির হতে দেওয়া হচ্ছেনা। একান্ত প্রয়োজনে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময় যানবাহনে জীবাণুনাশক স্প্রে ও সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপজেলার প্রথম লকডাউন চাঁদপাড়া গ্রামের বাসিন্দ চৌগাছা প্রেসকাবের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক অমেদুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে নিজ গ্রাম লকডাউন করেছি। এখন শুনছি আরো বেশকিছু গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে। লকডাউনের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, চাঁদপাড়া গ্রাম লকডাউন হয়েছে আমার জানা আছে। বাকি গ্রামগুলো লকডাউনের বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। তবে এলাকার মানুষ যদি গ্রামের মঙ্গলের জন্য লকডাউন করে সেটা ভাল খবর।