যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল: ভাল খাবার ও স্বাস্থ্যসম্মত পানি পাচ্ছেন না ভারতফেরা যাত্রীরা : ভাইরাস মেলেনি ৩২ নমুনার

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের কোয়ারেন্টিনে ভর্তি হওয়া ভারত থেকে ফেরা পাসপোর্ট যাত্রীরা ভালো খাবার ও স্বাস্থ্যসম্মত পানি পাচ্ছেন না। এদিকে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ সন্দেহে সংগ্রহকৃত ৮২টি নমুনার মধ্যে ৩২টি করোনামুক্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে গতকাল বিকেল পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে ছিলেন ৫৬ জন। এদের ভেতর ভারত থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসা রোগী ও তাদের সঙ্গীরা রয়েছেন। বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আসার পর তাদের ভর্তি করা হচ্ছে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল কোয়ারেন্টিনে। হাসপাতালের সংক্রামক ওয়ার্ড বলে পরিচিত বর্তমানে পুরুষ মেডিসিন ও পুরুষ পেয়িং ওয়ার্ডটি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব ওয়ার্ডে গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে মোট ভর্তি সংখ্যা ছিল ৪৯ জন। এসব লোকজন তাদের পছন্দমতো খাবার পাচ্ছেন না। পাচ্ছেন না স্বাস্থ্যসম্মত পানি। ড্রামে ও পাত্রের ভরে রাখা গভীর নলকূপের পানি খেতে হচ্ছে তাদের। কখনো আবার হাসপাতালের নলকূপের পানি দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালে রোগীদের যে খাবার দেয়া হতো সেই খাবারই দেয়া হচ্ছে। যা খেতে পারছেন না কোয়ারেন্টিনে থাকা বিদেশ ফেরত পাসপোর্টধারীরা। গতানুগতিক খাবার এবং পানি নিয়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছেন। গত শুক্রবার দুপুরে দেয়া খাবার পছন্দ না হওয়ায় তারা পুরুষ পেয়িং ওয়ার্ডের সামনে ফেলে দেন এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাদের অভিযোগ, বাথরুমের পরিবেশ খুবই খারাপ।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভারত থেকে আসা এককজন যাত্রী তারা বিত্তবান। বাড়িতে তাদের কমট আছে। বোতলভ্যরা পানি কিনে খান। যত্রতত্র চলাফেরা করেন। আর এখন ওয়ার্ডে রয়েছে আটকা। এ অবস্থা তাদের পছন্দ হচ্ছে না। ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের আটক অবস্থা থেকে ছেড়ে দিলে তাদের আর অভিযোগ থাকবে না।
তত্ত্বাবধায়ক বলেন, হাসপাতালের যে ল্যাট্রিন আছে সব পরিস্কার করে দেয়া হয়েছে। পানির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু কিছুই তাদের পছন্দ হচ্ছে না। আসলে তারা কোয়ারেন্টিন হতে মুক্ত হতে চায়। তিনি বলেন, কোন অজুহাত দেখিয়ে লাভ হবে না।
এদিকে করোনাভাইরাস সন্দেহে এ যাবত মোট ৮২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর ভেতর ৩২টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু ৩২টি করোনাভাইরাস মুক্ত বলে সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন। গতকাল ভারত থেকে ৩৫ জন পাসপোর্ট যাত্রী যশোরে ফিরে এসেছেন। তাদের ভেতর রোগী ও এ্যাটেনডেন্সসহ ১১ জনকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এবং বাকিদের গাজীর দরগাহ মাদ্রাসায় রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।