করোনারোধে মসজিদে তালা মুসল্লি শূন্য জুমা ও শবেরাত

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সাপ্তাহিক সমাবেশ জুমার নামাজ এবং অন্যতম ইবাদতের রাত শবেবরাতে মসজিদগুলো মুসল্লি শূন্য ছিল। ইতিহাসে এবারই প্রথম তারা মসজিদে আসেননি এবং পবিত্র জুমা ও শবেবরাতের নামাজ আদায় করেননি। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি ও সংক্রমণরোধে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনা মোতাবেক এক সপ্তাহ যাবত মসজিদগুলোতে তালা ঝুলছে।
বৃহস্পতিবার রাত ছিল মধ্য শাবান বা শবেবরাত। পরেরদিন শুক্রবার ছিল জুমার দিন। দুটিই মুসলমানদের জন্যে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। যদদ্দুর জানা যায়, নামাজ ফরজ হবার পর থেকে সারােিবশ্বর মুসলমানরা জুমার নামাজে শামিল হয়ে আসছেন। দুই ঈদের পর এটাই মুসল্লিদের প্রধান সমাবেশ। যে কারণে এদিন মুসল্লিদের ঢল নামে। অনেকে দূর-দূরান্ত থেকে গাড়িতে চড়ে জামাতে অংশ নেন। শবেবরাত বা ভাগ্য রজনী নামে বহুল পরিচিত মধ্য শাবানের রাতেও মসজিদে মুসল্লিদের তিলধারণের ঠাঁই থাকে না। এদিন তারা সারারাত ইবাদাত বন্দেগীতে কাটান এবং কবর জিয়ারত করেন। জুমার নামাজ ও শবেবরাত গুরুত্ব সহকারে পালন কেরন মুসল্লিরা। কিন্তু এবার ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। বিশেষ করে শহরের মসজিদগুলোতে কোন মুসল্লি ছিল না। গেটে ঠিল তালা ঝুলানো। মুসল্লিবিহীন অবস্থায় পার হয় শবেরাত ও জুমার দিন।
জানা গেছে, প্রাণঘাতী ভয়ঙ্কর করোনাভাইরাস অতি দ্রুত ছড়ায়। জনসমাগমের কারণে এটি বিস্তার লাভ করছে। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা ও জনসমাগম বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অথচ, মসজিদে দৈনিক ৫ বার মুসল্লিদের সমাগম ঘটে। এ অবস্থায় শীর্ষ আলেমদের পরামর্শে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মসজিদে ৫ থেকে ১০ জন মুসল্লির উপস্থিতিতে জামাত চালু রাখার নির্দেশনা দেয়। এ নির্দেশনার প্রেক্ষিতে সাধারণ মুসল্লিদের প্রবেশরোধে মসজিদগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। শহর অঞ্চলে এটা কড়াকড়িভাবে পালন করা হচ্ছে বিধায় জুমার নামাজ ও শবেবরাতে মুসল্লি হয়নি কোন মসজিদে।