মনিরামপুরে মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের পর মাটি কেটে ড্রেন নির্মানের অভিযোগ!

0

এস.এম.মজনুর রহমান,মনিরামপুর(যশোর)॥ যশোরের মনিরামপুরে পূর্ব বিরোধের জের হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা আশোক রায়ের বসতবাড়ির আঙিনার প্রায় ছয় শতক জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষ অরুন মন্ডলের বিরুদ্ধে। শুধু জমি দখল করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, দখলের পর ওই জমির মাটি কেটে লম্বা ড্রেন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের পোড়াডাঙ্গা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা অশোক কুমার রায় জানান, পোড়াডাঙ্গা মৌজার তার বসতবাড়ির আঙিনায় প্রতিবেশী কলেজ শিক্ষক পশুপতি মন্ডলের কাছ থেকে এওয়াজবদলের মাধ্যমে ৩১ শতক জমি বংশানুক্রমে পরিবারবর্গ নিয়ে তিনি ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে একই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক ভবেন্দ্র নাথ মন্ডলের ছেলে ডিশ ব্যবসায়ী অরুন মন্ডল গতবছর থেকে ওই জমির প্রায় ছয় শতক নিজের দাবি করে আসছে। এ নিয়ে অরুনের সাথে তাদের বিরোধ দেখা দেয়। মুক্তিযোদ্ধা আশোক কুমার রায়ের ছেলে স্কুল শিক্ষক সৌমিত্র রায় জানান, এরই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে প্রতিপক্ষ অরুন মন্ডল লোকজন নিয়ে বুধবার সকালে তাদের বাড়ির আঙিনার প্রায় ছয় শতক জমি দখল করে। পরে তারা ওই জমির মাটি কেটে লম্বা ড্রেন নির্মান শুরু করে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র এসে কাজ বন্ধ করে দেন। তবে অরুন মন্ডল জানান, তিনি গতবছর পশুপতি মন্ডলের একজন শরিকের কাছ থেকে দেড়লাখ টাকায় প্রায় ছয় শতক জমি ক্রয় করেন। বুধবার তিনি সেই জমি দখলে নিয়ে মাটি কেটে ড্রেন নির্মান শুরু করেন। কুলটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শেখর চন্দ্র রায় জানান, মাটি কাটার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য উভয়পক্ষকে নিয়ে বসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মনিরামপুর থানার ওসি(তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান জানান, এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ করা হলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।