চাল চুরির বদনাম দিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করায় নিন্দা

0

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি॥ ৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির বাঘারপাড়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান শাওনের বিরুদ্ধে চাল চুরির বদনাম ও মামালা দিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করায় নিন্দা জানিয়েছেন জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতৃবৃন্দ। নির্মূল কমিটির জেলা সভাপতি হারুন অর রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজেদ রহমান এই হীন কর্মের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন তারা। বিবৃতিতে অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনা বা কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউন ঘোষণার কারনে নিন্ম আয়ের কর্মজীবিদের কাজ বন্ধ হওয়ার কারনে তাদের মধ্যে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য সহয়তা প্রদান করতে সচ্ছল মানুষদের তাদের পাশে দাঁড়ানের আহ্বান জানান। এরপর বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন যার যার এলাকায় নিরন্ন মানুষের খাদ্য সহয়তা প্রদান করা শুরু করেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অনুরোধে সারা দেশের ন্যায় যশোরেও উদ্যোগ গ্রহন করে কমিটি। বাঘারপাড়া উপজেলায় কোন জনপ্রতিনিধি এ ধরনের উদ্যোগ না নেয়ায় ৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির বাঘারপাড়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান শাওন তিন হাজার লোকের খাদ্যসহয়তার কর্মসূচী নিয়ে খাদ্য বিতরণ শুরু করেন।
তিনি বাঘারপাড়ার খাজুরা বাজারের আড়তদার যশোর সদরের লেবুতলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেলুর কাছ থেকে চাল ক্রয় করেন। আর যশোর শহরের বড়বাজার থেকে আলু, ডাল, সয়াবিন তেল ক্রয় করে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি আলু, মুসুর ডাল এবং আধালিটার তেল দিয়ে এক একটি প্যাকেট করে বাঘারপাড়া উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে বিতরণ শুরু করেন এবং কাজ অব্যহত রাখেন। এরইমাঝে ৭ এপ্রিল সকালে যশোর ডিবি পুলিশ কোন প্রতিপরে দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সেই চালকে সরকারি চাউল বলে প্রচার করে। কিন্ত এ চাল সরকারি নয় প্রমাণ হওয়া সত্ত্বেও মিথ্যা মামলা দিয়ে ডিবি হেনস্থার মাধ্যমে একটি জনহিতৈষী কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করে শোন আ্যারেষ্টসহ ৭১এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সম্মানহানি করেছে এবং চলমান সহয়তা কার্যক্রমকে ব্যহত করেছে।