কালীগঞ্জে ত্রান দিয়ে ছবি তোলার পর জানা গেল নাম তালিকায় নেই !

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এমপি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ত্রান দেওয়ার পর জানা গেল নাম তালিকায় নেই। ফলে যুবলীগের এক নেতা ত্রান কেড়ে নিলেন। এ ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর যেমান চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে তেমনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঝড় তুলেছেন নেটিজেনরা। গত রোববার কালীগঞ্জের বলিদাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই ঘটনা ঘটলেও বুধবার গনমাধ্যমকর্মীদের কাছে বিষয়টি ফাঁস করে দেন সুফিয়া খাতুন নামে এক হতদরিদ্র মহিলা। তবে কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম বলেছেন ওই মহিলা একবার ব্যক্তি উদ্যোগে বিতরণ করা ত্রান পেয়েছে। পরে সে মাঠের কোনায় রেখে দেওয়া ত্রান নিয়ে চলে যাচ্ছিল। এ সময় ছমির নামে এক যুবলীগ নেতা তালিকায় নাম না থাকার কারণে নিয়ে নেন। এদিকে সুফিয়া খাতুন অভিযোগ করেন গত রোববার বিকালে তিনি ত্রাণ নিতে গিয়েছিলেন বলিদাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। ত্রাণের প্যাকেট সামনে নিয়ে ছবি তোলার পর কেড়ে নেওয়া হয়। সুফিয়া বলিদাপাড়া গ্রামের হায়দার আলীর স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান, গত রোববার বিকালে বলিদাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ত্রাণ দেওয়ার জন্য ডাকা হয়। পৌরসভার গাড়িতে করে ত্রাণ নিয়ে আসা হয়। কিছুণ পর স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার, ইউএনও সুবর্ণা রানী সাহা ও পৌর মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ ত্রাণ বিতরণ করতে মাঠে আসেন। এ সময় এ ঘটনা ঘটে। পৌর মেয়র ঘটনার প্রকৃত ব্যাখা দিয়ে বলেন, আমরা মাত্র ২০ প্যাকেট ত্রান নিয়ে গেছি। কিছু মানুষের নাম তালিকায় ছিল না। আমরা মাগরিবের নামাজ পড়তে গেলে মাঠে রাখা ত্রান নিয়ে চলে যাচ্ছিল। তাদের কাছ থেকে ত্রাণের প্যাকেট নিয়ে নেন বলিদাপাড়ার যুবলীগ নেতা সমীর হোসেন ও বাবরা গ্রামের লিটন। ওই মহিলা আগে ত্রান পেয়েছে বলে মেয়র জানান। একই গ্রামের বাহাদুর মন্ডলের স্ত্রী সুন্দরী খাতুন অভিযোগ করেন, গত রোববার চাল দেয়ার পর আমাদের কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগ নেতা সমীর হোসেন জানান, যাদেরকে ওই সময় ত্রান দেওয়া হয়েছিল তাদের তালিকায় নাম ছিল না। এ কারণে ত্রাণ নিয়ে তালিকা ভুক্তদের দেওয়া হয়েছে। ত্রান কেড়ে নেওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রাণী সাহা বলেন, আমি সেখানে ত্রান দিতে গিয়েছিলাম। তবে ত্রাণ কেড়ে নেওয়ার ব্যাপারে আমি তো কিছুই জানিনা।