বাগেরহাটে ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে হুড়কা ইউনিয়ন লকডাউন

0

আলী আকবর টুটুল, বাগেরহাট ॥ করোনা প্রতিরোধে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার হুড়কা ইউনিয়নে লকডাউন করেছে এলাকাবাসী। লকডাউন বাস্তবায়নে ভ্যাকোটমারি-বাবুর বাড়ি, বেলাই ব্রিজের দুই পাশ, গোনাই ব্রিজ বাজার মন্দিরের পাশে, ঝলমলিয়া রোডসহ ১০টি পয়েন্টে বাশঁ দিয়ে বেরিকেড দিয়েছে এলাকাবাসী। এসব বেরিকেডের পাশে হাত ধোয়ার জন্য পানি ও সাবান রাখা হয়েছে। ইউনিয়নের সকল বাজার, হাট ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জীবানুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে। এছাড়া বাড়ি বাড়ি জীবানুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে।
ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে নিজ ইউনিয়নকে করোনামুক্ত রাখতে এমন ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তপন গোলদার। ইউনিয়নে আসা ও যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার ফলে খেটে খাওয়া মানুষদের যাতে কষ্ট না হয়, সে জন্য সরকারি সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বাড়িতে বাড়িতে। করোনা প্রতিরোধে এমন উদ্যোগে খুশি এলকাবাসীঢ। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তপন কুমার গোলদার বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারাবিশ্ব যখন ভয়ে কাঁপছে। তখন কিছু মানুষ আছে যারা কোনভাবেই সরকারি নির্দেশনা মানছেন না। তাই ইউনিয়নের ১২ হাজার মানুষকে করোনামুক্ত রাখতে আমরা ইউনিয়নে প্রবেশ ও বের হওয়ায় বিষয়ে এক ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হতে বা প্রবেশ করতে পারবে না ইউনিয়নের মধ্যে।এছাড়া খেটে খাওয়া মানুষের বাড়ি বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। পরিষদের গ্রাম পুলিশ ও দফাদাররা প্রতিনিয়ত ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছেন। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে গেলে তাকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে। রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কুমার পাল বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে যে কেউ যাতে যত্রতত্র ওই এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে এবং পরিচ্ছন্নভাবে এলকায় প্রবেশ করেন। সে জন্য স্থানীয় জনগণের সহায়তায় ইউপি চেয়ারম্যান তার উদ্যোগ সম্পর্কে আমাকে অবহিত করেছেন। ওই এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে জীবানুনাশক স্প্রে করা হয়েছে। এছাড়া যদি কেউ অসুস্থ থাকেন তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ওই এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে।