খুলনার দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ ৭ সদস্যের

0

খুলনা ব্যুরো ॥ খুলনার দিঘলিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ মোল্লার বিরুদ্ধে হতদরিদ্রদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তিনি গ্রাম উন্নয়ন সমিতির নামে নিজস্ব কিছু লোকের মধ্যে এ চাল বিতরণ করে বাকি চাল আত্মসাতের পরিকল্পনা করছেন বলেও অভিযোগে প্রকাশ। এ ঘটনায় ৭ জন ইউপি সদস্য এ বিষয়ে প্রতিকার এবং নীতিমালা অনুযায়ী প্রকৃত উপকারভোগীদের মধ্যে চাল বিতরণের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সোমবার জেলা প্রশাসকের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগকারীরা হলেন, ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবিএম আতিকুল ইসলাম, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আজিজুর রহমান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোল্লা হারুন-অর-রশীদ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য খান বিপ্লব হোসেন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য হাফিজা খাতুন ও রিনা পারভীন। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, দুর্যোগকালীন ইউনিয়নের হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখা থেকে ২ এপ্রিল ২ হাজার ৯৬৮ মেট্টিকটন চাল বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা ফিরোজ বিষয়টি ইউপি সদস্যদের অবহিত না করে একতরফাভাবে স্বার্থসিদ্ধির জন্য নিজস্ব কিছু লোকের মধ্যে কিছু চাল বিতরণ করেছেন। বাকি চাল তিনি আত্মসাত করার পরিকল্পনা করছেন। এ অবস্থায় নীতিমালা অনুযায়ী প্রকৃত উপকারভোগীদের মধ্যে এ চাল বিতরণের পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা। ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবিএম আতিকুল ইসলাম, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আজিজুর রহমান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোল্লা হারুন-অর-রশীদ অভিযোগ করে বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করার পর তারা জানতে পেরেছেন, সোমবার বিকেলে চেয়ারম্যান নিজস্ব লোক দিয়ে গঠিত ‘গ্রাম উন্নয়ন সমিতি’র সদস্যদের মধ্যে এ চাল বিতরণ করেছেন। যে সমিতি সম্পর্কে তারা কেউ অবহিত নন। তিনি একতরফাভাবে নির্বাচিত সদস্যদের না জানিয়ে একক সিদ্ধান্তেই এসব অনিয়ম করছেন’। এর প্রতিকার দাবি করেন তারা।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, ‘তিনি ইউপি সদস্যদের লিখিত অভিযোগের কপি হাতে পেয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন’। অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা ফিরোজ এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘তিনি মোট ৩ হাজার ২শ হতদরিদ্রের মধ্যে চাল বিতরণ করবেন। এর মধ্যে সোমবার গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যসহ ৫৮৫ জনের মধ্যে বিতরণ করেছেন। সরকারি বরাদ্দের চাল তিনি নীতিমালা অনুযায়ী বিতরণ করেন। ইউপি সদস্যদেরও দেন। কিন্তু তার ব্যক্তিগত অর্থে কেনা চালের বিষয়েও সদস্যরা অভিযোগ করছেন বলেও দাবি করেন তিনি’।