মনিরামপুরে পালিয়ে আসা ২ যুবকের একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে, অন্যজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে

0

স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর)॥ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় করোনা উপসর্গের সন্দেহে একজন পরিবহন শ্রমিক পালিয়ে যশোরের মনিরামপুরে নিজ বাড়িতে অবস্থান করার খবরে এলাকায় চরম আতংক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে যশোরের সিভিল সার্জনের নির্দেশে শনিবার সকালে মনিরামপুর থেকে এ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আনা হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকায় চিকিৎসাধীন এক চালক অনুরুপভাবে পালিয়ে মনিরামপুরে নানাবাড়ি আশ্রয় নিয়েছে। তবে তাকে প্রশাসন হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শুভ্রা রানী দেবনাথ জানান, উপজেলা মাছনা গ্রামের একজন পরিবহন শ্রমিক সর্দি, কাশি, জ্বর হওয়ায় সম্প্রতি যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হয়। কিন্তু করোনা উপসর্গের সন্দেহে ওই ব্যক্তি পালিয়ে নিজ বাড়িতে অবস্থান করে। আর এ খবর ছড়িয় পড়লে এলাকায় চরম আতংক ছড়িয়ে পড়ে। যশোরের সিভিল সার্জন ডা: শেখ আবু শাহিন জানান, খবর পেয়ে শনিবার সকালে এ্যাম্বুলেন্সে করে মনিরামপুর থেকে ওই যুবককে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আনা হয়েছে।  অপরদিকে ঢাকা থেকে পালিয়ে আসা অপর যুবকটি পেশায় গাড়ি চালক। ঢাকায় একটি হজ্জ্ব গ্রুপের হয়ে বিমানবন্দরে যাত্রী আনা নেওয়া করত সে। হঠাৎ কয়েকদিন আগে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। ঢাকায় চিকিৎসাধীন আবস্থায় করোনা সন্দেহে বৃহস্পতিবার ওই যুবক পালিয়ে মনিরামপুর পৌরসভার বিজয়রামপুরে নানা বাড়িতে আশ্রয় নেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়দের চাপে ওই যুবক সেখান থেকে পালিয়ে উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের পিতার বাড়িতে চলে যায়। অবশ্য সেখানে ছেলেকে ঘরে তালাবদ্ধ করেন তার পিতা। শুক্রবার এ খবর জানাজানি হল রঘুনাথপুরে দেখা দেয় চরম আতংক। এক পর্যায়ে ওই যুবক পুনরায় পৌরসভার বিজয়রামপুরে নানাবাড়িতে আশ্রয় নেয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শুভ্রা রান দেবনাথ এবং ওসি রফিকুল ইসলাম সরেজমিন পরিদর্শনের পর তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করেন।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শুভ্রা রানী দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।