করোনার প্রভাব : রোগী শূন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল

0

মাগুরা সংবাদদাতা॥ মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল । দুই সপ্তাহ আগেও হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের ভিড় ঠেলে সামলানো যেত না । প্রতিদিন আউটডোর থেকে সেবা নিত প্রায় ৩ থেকে ৪ শতাধিক রোগী । আর এখন করোনা ভাইরাসের প্রভাবে অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ আর হাসপাতাল মুখো হয় না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে , মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নাম হলেও এখানে ২৫০ শয্যার জনবলকাঠামো অনুমোদিত হয়নি । ফলে জনবল ও সুযোগ-সুবিধার দিক দিয়ে এটি এখানো ১০০ শয্যার সদর হাসপাতাল । তারা আরো জানিয়েছেন ,১০০ শয্যার এই হাসপাতালে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন রোগী থাকে তিন’শ থেকে সাড়ে তিনশ । করোনা ভাইরাসের ভয়ে এখন সেই সংখ্যা নেমে এসেছে অনেক নিচে । চিকিৎসক ও নার্সরা বলছেন,বর্তমান করোনা ভাইরাসের প্রাদুভাবের জন্য কোন রোগীই হাসপাতালে থাকতে চাইছেন না ।
হাসপাতালের মেডিসিন ,সার্জারি,শিশু,অর্থোপেডিক ও গাইনি ওয়ার্ডের অর্ধেকের বেশি শয্যা খালি পড়ে আছে ,যারা ভর্তি আছে তারাও ভয়ে থাকতে চাইছেন না । এক সপ্তাহের ব্যবধানে শিশু ওয়ার্ডে কমেছে নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যাও । এদিকে তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয় থেকে জানা যায় , মাগুরা সদর হাসপাতালেমোট ২৯ জন চিকিৎসকের পদ রয়েছে । বর্তমানে আছেন ১৭ চিকিৎসক । আর মাতৃত্বকালীন ছুটি ও প্রেষণ বাদে ৮৪ নার্সের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ৭৬ জন।
খোজঁ নিয়ে একই চিত্র পাওয়াগেছে শ্রীপুর,শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ।সেখানেও চিকিৎসা সেবা নেয়া সাধারণরোগীর সংখ্যা কমেছে । তিন উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সই নামে ৫০ শয্যার হলেও সেখানে সুযোগ-সুবিধা আছে ৩১ শয্যার । অন্য সময় যেখানেরোগী সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় ,এখন সেখানে হাসপাতালের বেশির ভাগ শয্যা খালি । সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক স্বপন কুমার কুন্ডু বলেন,করোনার কারণে সদর হাসপাতালে সাধারণ রোগীর সংখ্যা কমে গেছে । সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক থাকায় অনেক রোগী ভর্তি হচ্ছে না । তারা ভর্তি আছে তারা তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছে । আমরা আমাদের সাধারণ রোগীদের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অবহিত করছি যে,যাদের সাধারণ সর্দি,জ্বর ও কাশি থাকলে তারা বাড়িতে বসে টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা গ্রহন করতে । তাছাড়া মানুষের মধ্যে সচেতনতা আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি পাওয়াতে সাধারণরোগীরা হাসপাতালে আসছে না ।