লোহাগড়ায় চপ খাওয়ার পর টাকা চাওয়ায় সংঘর্ষ ভাংচুর, আহত ৬, আটক ৩

0

লোহাগড়া (নড়াইল) সংবাদদাতা॥ নড়াইলের লোহাগড়ায় দোকান থেকে পিঁয়াজু চপ খাওয়ার পর টাকা চাওয়ায় দোকানদারসহ কয়েকজনকে মারপিট করেছে দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় দুপক্ষের আহত হয়েছে অন্তত ৬জন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকা অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার(৩১মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে কোটাকোল লঞ্চঘাটে টিটো শেখের দোকান থেকে কুমড়ি গ্রামের বখাটে রানা, আশিকসহ ৬জনে প্রথমে ৬টি পিঁয়াজু চপ খায়। এরপর তারা আরো ২শ গ্রাম পিঁয়াজু চপ নেয়। পরে আবার বখাটেরা আরো ৬টি পিঁয়াজু চপ নেয়। এরপর দোকানদার তাদের কাছে টাকা চাইলে তারা দোকানদারকে গালিগালাজসহ মারপিট করে। ঘটনার পর স্থানীয় কে,ডি,আর,কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোঃ জামাল মুন্সী ও দিঘলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের ভাই তুহিন প্রাথমিকভাবে বিষয়টির মিমাংসা করে দেন। কিন্তু দেড় ঘন্টা পরে আবার ৩টি মোটরসাইকেল ও একটি পিকআপ ভ্যানে করে বখাটে রানা,আশিক এর নের্তৃত্বে ১০/১২জনে হঠাৎ কোটাকোল লঞ্চঘাটে এসে দোকানদার টিটো শেখসহ পাশর্^বর্তী দোকানদারদের উপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও লোকজন জোটবদ্ধভাবে বখাটেদের পাল্টা হামলা করে। এসময় বখাটে রানা(২৫)মারাত্বক জখম হন। আহত অন্যরা হলেন ইসা(২২), নাজমুল(৩৫), টিটো(২৮), আশরাফুল(৩৫), মিলন(২৫)। মারাত্বক আহত রানা যশোর জেনারেল হাসপাতালে এবং অন্যরা স্থানীয় হাসপাতালসহ কিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছে। বখাটেরা দাবড় খেয়ে চলে যাবার পথে দিঘলিয়া বাজারের দোকানদার জামাল মুন্সীর দোকানে চড়াও হয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে।
স্থানীয় দোকানদাররা জানান, ভৌগলিকভাবে কুমড়ি গ্রামের লোকজন প্রভাবশালী। ওই গ্রামের রানা, আশিকের নেতৃত্বে অন্তত ১০/১২ জনে প্রতিদিন কোটাকোল লঞ্চঘাটে এসে আড্ডা মারে ও নেশার রাজত্ব কায়েম করে। দোকানদারদের জিম্মি করে তারা অরাজকতা করে। কুমড়ি গ্রাম থেকে কোটাকোল লঞ্চঘাট দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার হলেও বখাটেরা বেপরোয়া হওয়ায় ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন জিম্মি ছিল। লোহাগড়া থানার ওসি(তদন্ত) মোঃ আমানুল্লাহ আল বারী জানান, এঘটনায় জামাল মুন্সীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।