ক্যান্সারে মায়ের চিকিৎসার জন্য পিতার দ্বারস্থ পুত্র; হৃদয় টলেনি পাষন্ডের!

0

কপিলমুনি(খুলনা) সংবাদদাতা॥ দুরারোগ্য মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত মা রহিমা বেগম বিছানা শয্যায় । একদিকে অসুস্থ্য মায়ের করুণ অবস্থা অন্যদিকে নাবালক পুত্র রাবিরের বিষন্ন মুখে শতকোটি চেষ্টা যেন উপস্থিত মানুষদেরকে কাঁদিয়ে ফিরছে। কেবল কাঁদেননি পাষন্ড পিতা ওয়ারেশ আলী। কখনো খোঁজও নেয়নি অসুস্থ ক্যান্সারে আক্রন্ত স্ত্রী রহিমা ও নাবালক পুত্র রাবিরের। স্বামীর গ্রামের বাড়ি সাতীরার মাধবকাটি গ্রামে যান অসুস্থ স্ত্রী রাবির মাতা রহিমা বেগম। কিন্তু হৃদয় টলেনি পাষন্ড পিতার, ফিরে আসতে হয় অসুস্থ মাকে সাথে নিয়ে। জানাগেছে, নাবালক রাবির অসুস্থ মা রহিমাকে নিয়ে তার নানা বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিস্থ নগর শ্রীরামপুর গ্রামে বর্তমানে বসবাস করছে। অসুস্থ মাকে রেখে প্রতিদিন হোটেল বয়ের কাজ করে তাই নুন্যতম রোজগারের টাকায় জীবিকা ও মায়ের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে সে। এমন করুণ পরিনতি দেখে এলাকার মানুষ যত সামান্য সহযোগিতার হাত বাড়ালেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অতি নগন্য। ঘটনা জানতে পেরে এ প্রতিনিধি অসহায় রাবিরের মুখোমুখি হন। শনিবার ইত্তেফাক প্রতিনিধি কে দেখেই হতচকিত হয়ে পড়ে সে। ফেলফেলিয়ে তাকিয়ে আবারও মায়ের গায়ে হাত বুলাতে থাকে রাবির। তখনও নাবালক রাবিরের চোখেমুখে বিষন্নতা আর অজানা দুশ্চিন্তার ছাপ। মা যেন সুস্থ হয়ে চলাফেরা করতে পারে এমন আশায় রীতিমতো ব্যাস্ত। মাকে নিয়ে তার স্বপ্ন ও অনেক আশার কথা জানায় নাবালক পুত্র রাবির। রাবিরের যত সামান্য এ প্রয়াশ প্রতিনিধিকে রীতিমতো অশ্রুশিক্ত করে দেয়। তার মমত্ববোধ দেখে চোখে পানি চলে আসে মুহুর্তেই। মায়ের প্রতি ভালবাসার এক উদহারণ রাবির। পিতৃ বৈভবের প্রতি বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই তার। মাকে সুস্থ্য করাটা তার কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু হোটেল বয়ের টাকায় কি মায়ের চিকিৎসা সম্ভব! এ বিষয়ে সমাজের বিত্তবান ও স্বহৃদয়বানদের কাছে নাবালক রাবির সাহায্যের দাবি জানিয়েছে। সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা, মোঃ রেজাউল করিম, আর কে ফার্মেসী, জনতা ব্যাংক মোড়, মেইন রোড, কপিলমুনি বাজার, পাইকগাছা, খুলনা। বিকাশ নাং ০১৯৩৭১৬৫০৩২