করোনার ভয়কে জয় করতে ভারতীয় চিকিৎসকের দুর্দান্ত পরামর্শ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে এক ভারতীয় চিকিৎসকের করোনা বিষয়ক পরামর্শের অডিও ক্লিপ। এতে নিয়মিত এক্সসারসাইজ, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, মাল্টিভিটামিন ও হাই প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণ এবং জীবনযাপনে কিছু নিয়ম ফলো করলেই করোনার ভয়কে জয় করতে পারবে যে কোনও বয়সের মানুষ বলে দুর্দান্ত কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হয়েছে।
চিকিৎসক জানান, ভাইরাস কখন ঢুকবে সেই ভয়ে মরে না গিয়ে নিজের ইমিউনিটি কিভাবে বাড়ানো যায় সেই চেষ্টা করতে হবে। ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া মুক্ত জগৎ হয় না। এসব নিয়ে না ভেবে নিজের ভেতরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। সেজন্য প্রথমত রেগুলার এক্সারসাইজ করতে হবে। সে যে কোনও ব্যায়াম হতে পারে যার সঙ্গে আপনি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন। দ্বিতীয়ত পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া। তৃতীয়ত যে কোনও একটা মাল্টিভিটামিন খাওয়া। ভিটামিন সি ও জিংক আছে এমন খাবার। এছাড়া কারবোহাইড্রেড ও ফ্যাট কমিয়ে দিয়ে প্রোটিন খেতে হবে। কারণ প্রোটিন ডায়েট ইমিউনিটি বাড়ায়। এ জন্য যে মাছ, মাংস, ডিম ও একগাদা খেতে হবে তা নয়। মশুর ও মুগের মতো দুই রকমের ডাল মিশিয়ে খিচুড়ি খাওয়া যেতে পারে। যেটা খুবই হাই প্রোটিন। প্রচুর পানিও পান করতে হবে।
চতুর্থত এসময় গলা খুশখুশ করলেই চায়ের মতো করে একটু পরপরই গরম পানি পান করাটা বেশ উপকারি। মনে রাখতে হবে গলা খুশ খুশ মানেই করোনা নয়, আবার করোনা মানেই মৃত্যু নয়। এতে ভয়ের কিছু নেই করোনায় শতকরা মৃত্যু মাত্র ২ ভাগ।
পঞ্চমত মাস্কের বিষয়টা। মাস্ক ব্যবহারের পর তা না ফেলে দিলেও চলে। এটাকে অন্তত তিন ঘণ্টা কড়া রৌদে রেখে দিয়ে তা আবার পুনরায় ব্যবহার করা যায়। কেননা প্রচণ্ড রৌদের তাপ ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে। এছাড়া মুখে হাত দেওয়া যাবে না। বাড়ির বাইরে থেকে কেউ আসলে তাকে ভালো করে হাত-পা ধুয়ে নিতে হবে, আর কথা বলতে হবে অন্তত এক মিটার দূরত্ব থেকে। বাইরে কেনাকাটা করতে যাওয়া যাবে, তবে ভীড় এড়িয়ে চলতে হবে। ঐ চিকিৎসক আরও বলেন, ২৯ মার্চ থেকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমে যাবে। এভাবে ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করলেও পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় একটু একটু করে করোনার সংক্রমণ থাকবে। তখন স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে যেতে পারবে মানুষ। তবে সেপ্টেম্বেরের শেষ সপ্তাহে পুরোপুরি ভ্যানিশ হয়ে যাবে এটা। তার ধারণা ভারতে ১৫ হাজরের কাছাকাছি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হবে। আক্রান্তদের থেকে মৃত্যু ৫০০ ছাড়াবে না। তিনি ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে বলেন, করোনা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। যে পরিমাণ আতঙ্ক মানুষের মধ্যে প্রথমে দেখা দিয়েছিল এতে মনে হয়েছিল- ভারতে যে পরিমাণ জনসংখ্যা তাতে এখন পর্যন্ত ৫০০-৬০০ মানুষ মরে যাওয়ার কথা।