ঢাকার রাস্তা ফাঁকা : শেষ মুহুর্তে বাড়ি ফেরার চেষ্টা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের ভয়ে গোটা বিশ্ব এখন কার্যত ঘরবন্দি। সংক্রমণ ঠেকাতে দেশেও নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে লঞ্চ, ট্রেনসহ সব গণপরিবহন। অভ্যন্তরীন রুটের বিমান চলাচল বন্ধ। দুটি ছাড়া আন্তর্জাতিক সব রুটে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ফ্লাইট। ছুটি ঘোষণা করায় বুধবারের মধ্যে ঢাকা ছেড়েছেন অনেকে।
লঞ্চ, ফেরিঘাট, বাস টার্মিনালে ভিড় জমেছে ঘর ফেরা মানুষের। এদিকে গণপরিবহন বন্ধের আগে গতকালও অনেকে ঢাকা ছাড়ার চেষ্টা করেছেন। এজন্য বাস টার্মিনালগুলোতে ভিড় ছিল প্রচুর। তবে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকা ছাড়ায় এবং অফিস ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গতকাল ঢাকার চিত্র ছিলো অনেকটা ফাঁকা। দু একটি রুটে কিছু সময় পর পর বাস আসলেও তাতে যাত্রী ছিলো হাতেগোনা। রাজপথে রিকসাও সিএনজি অটোরিকশা তুলনামুলক কম ছিলো। শহরের দোকান-পাট বন্ধ রয়েছে। ওষুধের দোকান, কাচাঁ পণ্যের দোকান ছাড়া বন্ধ রয়েছে শপিংমলগুলো। সড়কে পথচারীর সংখ্যাও কমে গেছে। প্রশাসনের সর্তকতার কারণে পাড়ার অলি-গলির চা দোকান, রেস্টুরেন্টসহ অন্যান্য দোকানপাট মঙ্গলবার রাত থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। গাবতলী বাসট্যান্ড ও মহাখালী বাসট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়, সেখানে বাড়ি ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভীড়। অথচ রাজধানী ছেড়ে নিজ নিজ গ্রামের না যাওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধ করা সত্ত্বেও তা মানছে না অনেকেই। বুধবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত টার্মিনাল থেকে বাস ছাড়তে পারে এমন সংবাদে বাড়ি ফেরা মানুষ বাসট্যান্ডে অবস্থান করছিলেন। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত মঙ্গলবার অনেকই বাড়ি ফিরতে না পারায় সারারাত বাসট্যান্ডে অবস্থান করেন। বুধবার দুরপাল্লার বাস ছাড়লে তারা নিজ নিজ এলাকায় চলে যান। জামালপুরগামী যাত্রী রুমানা জানান, করোনা আতঙ্কে ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। ভোররাতে মোহাম্মদপুর থেকে হেঁটে তার ২ ছেলেকে নিয়ে মহাখালী বাস র্টামিনালে যান। অন্যদিকে করোনা আতঙ্কে রাস্তায় মানুষের সমাগম ছিলো। কিন্তু এখন ভয়ে কেউ বের হচ্ছে না। দোকানপাট সব বন্ধ। রিকসা ও সিএনজি তেমন পাওয়া যায় না।