লকডাউনে দুর্ভোগে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল শিল্প

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়া। এ সিদ্ধান্ত দেশটির পাম অয়েল শিল্পের জন্য আতঙ্ক বয়ে এনেছে। মালয়েশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদনকারী ও রফতানিকারক দেশ। দেশটির অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত এটি। লকডাউনে এ খাত চরম দুর্ভোগে পড়তে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। খবর ব্লুমবার্গ।
গত ১৬ মার্চ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন মহামারী সংক্রমণ রোধে দেশটির লকডাউনের ঘোষণা দেন, যা ১৮ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে। ওই সময় তিনি বলেন, মহামারী রোধে মালয়েশিয়া সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক ক্রিয়াকলাপ সীমাবদ্ধ রাখবে। এর পাশাপাশি সব দর্শনার্থীকে দেশটিতে প্রবেশ নিষিদ্ধসহ ১৮ মার্চ থেকে আগামী দুই সপ্তাহের জন্য বিদেশীদের দেশটি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে।
মালয়েশিয়া সরকারের এ নতুন নির্দেশনাটিতে পাম অয়েল খাতের জন্য স্পষ্টতার অভাব রয়েছে বলে দাবি করেছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। দেশটিতে বর্তমানে পাম অয়েলের সংগ্রহ মৌসুম চলছে। ফলে দেশটির পাম অয়েল উৎপাদনকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তারা জানিয়েছেন, লকডাউনের ফলে এ সময়ে পণ্যটির সংগ্রহ ব্যাহত হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এ সময়ে খাতসংশ্লিষ্ট মিল ও পরিশোধনাগারগুলোর কার্যক্রমও ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
মালয়েশিয়া পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিব ওয়াহাব জানান, দুই সপ্তাহে ধরে কার্যক্রম বন্ধ থাকলে দেশটির এ শিল্পের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে এর সঙ্গে জড়িত সাড়ে ছয় লাখ ক্ষুদ্র অংশীদারদের ভোগান্তি চরমে উঠতে পারে।
পাম অয়েল শিল্পের দুর্ভোগ গোটা দেশটির অর্থনীতিতেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। নাহিব ওয়াহাব জানান, পাম অয়েল শিল্পে দুই সপ্তাহের লকডাউন মানে পণ্যটির গুণগত মানে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে পারে। সংগ্রহের অভাবে এ সময় ফলগুলো অতিপক্ব হয়ে যেতে পারে। এতে ভোজ্যতেলটির গুণগত মান কমে যেতে পারে, যা আন্তর্জাতিক বাজারে মালয়েশীয় পাম অয়েলের প্রতিযোগিতা হুমকির মুখে ফেলবে। ক্রেতা তখন শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদন ও রফতানিকারক দেশ ইন্দোনেশিয়ার প্রতি ঝুঁকে পড়তে পারে।
তিনি আরো বলেন, আর সত্যি এটা ঘটলে তা মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিকে ফিরে আসতে আরো দুই মাস সময় লেগে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে লকডাউনের মধ্যেও শিল্পটির কার্যক্রম যথারীতি পরিচালনার জন্য অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশন।