১১০ কারখানার পৌনে ১৪ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল-স্থগিত

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো একের পর এক লকডাউন ঘোষণা করছে। বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করছে পোশাকের ব্র্যান্ডগুলো। এ পরিস্থিতিতে ভোক্তা চাহিদায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বাজার চাহিদার এ পরিস্থিতিতে নতুন ক্রয়াদেশ দিচ্ছে না ক্রেতারা। এরই মধ্যে দেয়া ক্রয়াদেশগুলোর পরিমাণ কমাচ্ছে। চলমান ক্রয়াদেশগুলোর উৎপাদন থেকে বিরত থাকতে বলছে। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পসংশ্লিষ্ট সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) তথ্যমতে, ১১০ কারখানার প্রায় ১৪ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হয়েছে।
করোনার প্রভাবে প্রথমে কাঁচামাল সরবরাহ সংকটে পড়তে হয়েছিল পোশাক খাতকে। চীননির্ভর কাঁচামালগুলো আসতে পারছিল না। কারণ করোনার প্রভাবে দেশটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ধীরগতিতে হলেও কাঁচামাল সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও এখন চাহিদা সংকটে পড়েছে পোশাক খাত। পশ্চিমা দেশগুলোর ক্রেতারা একের পর অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় ভোক্তা চাহিদা কমে বিক্রি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিতাদেশ দিচ্ছেন ক্রেতারা। বিরূপ পরিস্থিতিতে ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ বাতিলের তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে বিজিএমইএ।
গতকাল বেলা ১টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যমতে, বিজিএমইএর সদস্য ১১০ কারখানার ১৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫০ হাজার ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল-স্থগিত হয়েছে। এসব ক্রয়াদেশের আওতায় রফতানি হওয়ার কথা ৩ কোটি ১৪ লাখ পিস পোশাক। খাতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ক্রয়াদেশ বাতিল-স্থগিত করা ক্রেতাদের মধ্যে প্রাইমার্কের মতো বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানও আছে।
এর আগে ১৮ মার্চ বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যমতে, বিজিএমইএর সদস্য ৬৯ কারখানার ৯ কোটি ৩০ লাখ ৬৩ হাজার ২০৯ কোটি দশমিক ১৭ ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ক্রেতা প্রতিনিধিদের আমরা ক্রয়াদেশ বাতিল না করতে অনুরোধ জানিয়েছি। আমাদের এত কর্মী, সামনে ঈদ আছে, বোনাস আছে। এভাবে যদি ক্রয়াদেশ বাতিল হতে থাকে, তাহলে কী হবে?