যশোরে ডিশ বাবুকে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ হায়দারের সন্তান আতাউর রহমান হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বড় বাজারের মীর মোশাররফ হোসেন ওরফে ডিশ বাবুকে গ্রেফতার ও তার ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। গত বুধবার প্রেস কাব যশোরের সামনে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের আয়োজনে এই মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আতাউর রহমানের বাবা মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ হায়দার, মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহজাদী জাহান মুক্তি, সংগঠনের ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক খোকন মিয়া, যশোরের সভাপতি শেখ সোয়েব আহমেদ শুভ ও সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা।
বক্তারা বলেন, ডিশ বাবু মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ হায়দারের ছেলে আতাউর রহমানের ডিশ ব্যবসা দখল করে নেয়। এরপর পরিকল্পিতভাবে ২০১৫ সালে ১৯ এপ্রিল তাকে হত্যা করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে বাবু চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ দিয়ে দেয়। এরপর থেকে ডিশ বাবু ব্যবসাটি দখলে রাখতে যশোর সিটি ক্যাবলের এমডি পদটি ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। ঝিকরগাছার দুটি ইউনিয়নে ১৫টি গ্রামের ব্যবসা সে রাতারাতি দখল করে নেয়। মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ হায়দারকে উল্টো হেনস্তা করতে আদালতে চেক ডিজঅনার মামলা করে। মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ হায়দার প্রতিবাদ করলে বাবু তাকে ও তার দুই ছেলেকে হত্যার হুমকি দেয়। নিরাপত্তার জন্য ২০১৮ সালে ২৭ মার্চ ফিরোজ হায়দার বাবুর বিরুদ্ধে একটি জিডি করেন। তারা বলেন, শুধু আতাউর রহমানকে হত্যা নয়, যশোর শহরের বড় বাজারের অপরাধের নাটের গুরু ডিশ বাবু। দীর্ঘদিন ধরে বাবু বড় বাজারের ইজারাদার। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা পারিবারিকভাবে পাকিস্তান প্রেমিক ছিল। তার পিতা কামরে আলম পেশায় ফেরিওয়ালা ও পাকিস্তানি হানাদারের পক্ষের লোক ছিলেন। বাজারের ইজারাদারসহ প্রভাব-প্রতিপত্তি ধরে রাখতে বর্তমানে তিনি যুবলীগ নেতা সেজেছেন। যশোর অঞ্চলের চোরাচালান সিন্ডিকেটসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা বাবুই নিয়ন্ত্রণ করে। বাবু কোটি কোটি টাকার মালিক। শহরে তার কয়েকটি বাড়ি, মার্কেট, একাধিক স্থানে জমি ও দামি গাড়ি রয়েছে। প্রভাব বজায় রাখতে বাবুর নির্দেশে ২০২০ সালে ২৬ ফেব্রুয়ারি বড় বাজারের মাছের আড়ত কর্মচারী শেখ ইমরান হোসেন মুন্নাকে হত্যা করা হয়। তাই নেতৃবৃন্দ বাবুকে দ্রুত গ্রেফতারসহ তার ফাঁসির দাবি জানান। মানববন্ধন শেষে ডিস বাবুর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়।