চাল কেনার হিড়িকে বিক্রেতারা দাম বাড়ালো কেজিতে ৩ টাকা

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ॥ যশোরের বাজারে হঠাৎ করে চালের বিক্রি অস্বাভাবিকহারে বেড়েছে। সুযোগটা কাজে লাগাতে বড় বড় ব্যবসায়ীরা তৎপর হয়ে উঠেছেন। গত তিনদিনে প্রতিদিন কেজিতে ১ টাকা করে চালের দাম বেড়েছে। মোটা স্বর্ণা চাল ৩৩ টাকা কেজি থেকে ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা। কেন ক্রেতারা বেশি বেশি করে চাল কিনছেন ব্যবসায়ীরা তা বলতে পারলেন না। মাত্র তিনদিন আগেও যশোরের বড় বাজার চাল বাজারে মোটা স্বর্ণা চাল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৩ টাকা। হঠাৎ করে ক্রেতা সাধারণ চাল কেনা বাড়িয়ে দিয়েছেন। ক্রেতাদের বেশি বেশি করে চাল কেনার প্রবণতা লক্ষ্য করে মিল মালিক, আড়তদার ও মজুতদাররা পাইকারি বাজারে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। বাজারে ঘাটতি না থাকলেও মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি চালে ২ টাকা থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা।
গতকাল বুধবার খুচরা দোকানগুলোয় স্বর্ণা চাল ৩৬ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৪২ টাকা, মিনিকেট চাল মানভেদে ৪৬ থেকে ৫০ টাকা ও বাংলামতি চাল মানভেদে ৫৬ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। গত তিনদিন আগেও বিআর-২৮ চাল ৪০ টাকা, মিনিকেট চাল মানভেদে ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা ও বাংলামতি চাল মানভেদে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতাদের চাল কেনার হার বেড়ে যাওয়ায় আড়ত থেকে বেশি দাম দিয়ে চাল কিনতে হচ্ছে তাদের। এ কারণে খুচরা দামও বেড়ে যাচ্ছে। তারা বলছেন, হাট-বাজার থেকে ধান কিনে চাল বানিয়ে মিল মালিক, মজুতদার ও আড়তদাররা গুদামজাত করে রেখেছেন। বর্তমানে চালের সন্তোষজনক মজুতে চালের দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। শুধুমাত্র বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় ওই বড় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াচ্ছেন। খুচরা ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন সামনের দিনগুলোতে হয়ত আরও দাম বাড়িয়ে দেবেন তারা। যশোর চাল বাজার মালিক সমিতির সভাপতি সুশীল বিশ^াস এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি লক্ষ্য করেছেন মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) থেকে বাজারে হঠাৎ করেই ক্রেতারা বেশি বেশি করে চাল কিনছেন। কেন ক্রেতারা চাল কেনা বাড়িয়ে দিলেন তা তিনি বলতে পারেননি। তবে তিনি জানান, গত তিনদিন ধরে পাইকারি বাজারে চালের দাম বেড়েছে। তার ধারণা, নতুন বোরো ধান না ওঠা পর্যন্ত চালের দাম কমবে না, বরং সামান্য কিছুটা বাড়তে পারে। এ বিষয়ে কথা হয় কৃষি বিপণন অধিদফতরের যশোর জেলা মার্কেটিং অফিসার সুজাত হেসেন খানের সাথে। তিনি বলেন, মোটা স্বর্ণা চালের বাজার এখনও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। নতুন বোরো ধানের চাল বাজারে আসার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত চালের দাম আর বাড়বে না বলে তিনি আশা করছেন।