প্রেমিকার সাথে সখ্য,বন্ধুর হাতে কলেজছাত্র খুন

0

স্টাফ রিপোর্টার, মনিরামপুর (যশোর) ॥ গতকাল মঙ্গলবার সকালে যশোরের মনিরামপুরে বন্ধুর হাতে খুন হয়েছে এক কলেজছাত্র। খুনের শিকার কলেজছাত্র ইকলাস হোসেন নয়ন যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের আবু হানিফের ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত বন্ধু মৃদুল মনিরামপুরের এড়েন্দা গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে প্রেমঘটিত কারণে ঘটেছে এ খুনের ঘটনা।
মনিরামপুরের খেদাপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সালাহ উদ্দিন জানান, ইকলাস হোসেন নয়ন ছোটবেলা থেকে যশোর সদর উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামে নানার বাড়ি থেকে লেখাপড়া করতো। সে রুদ্রপুর কলেজের এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। অন্যদিকে নয়নের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মৃদুল পাশের মণিরামপুর উপজেলার পলাশী কলেজের একই শ্রেণির শিার্থী। মৃদুলের সাথে তার কলেজের এক ছাত্রীর প্রেমের সস্পর্ক ছিল। সম্প্রতি তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়। এবং ওই ছাত্রীর সখ্য তৈরি হয় নয়নের সাথে। এ নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে বিবাদ দেখা দেয়। যার জের ধরে নয়নকে হত্যা করেছে মৃদুল। এ তিন জন একই শিকের কাছে প্রাইভেট পড়ে।
নয়নের নানা আয়হার আলী জানান, প্রতিদিনের মতো নয়ন ভোর ছয়টায় (মঙ্গলবার) পার্শ্ববর্তী মনিরামপুরের বাসুদেবপুর গ্রামের শিক্ষক ইব্রাহিমের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায়। সকাল সাতটার দিকে পলাশী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মসজিদের সামনে নয়নের লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী তাকে খবর দেন। সকাল ১০ টার দিকে সহকারী পুলিশ সুপার (মনিরামপুর সার্কেল) সোয়েব আহমেদ খান, থানা পুলিশের ওসি (সার্বিক) রফিকুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এদিন দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিহত নয়নের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
মণিরামপুর থানার পরিদর্শক মতিয়ার শিকদার জানান, পলাশী স্কুলের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে রাস্তা থেকে নয়নকে তার বন্ধু মৃদুল ধরে টানতে টানতে স্কুলের প্রাচীরের ভেতর নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মৃদুল বেধড়ক মারপিটের এক পর্যায়ে নয়নের মাথা ধরে দেওয়ালে আঘাত করতে থাকে। এ সময় নয়ন অচেতন হয়ে পড়লে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মৃদুল। হত্যার পর মৃদুল তার লাশ টানতে টানতে প্রাচীরের বাইরে মসজিদের সামনে ফেলে চলে যায়। ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত ইকলাস হোসেন নয়নের নানা আয়হার আলী নয়নের বন্ধু মৃদুলকে প্রধান করে অজ্ঞাত আরো তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ মৃদুলসহ কাউকে আটক করতে পারেনি।