পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন : শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় কাজ করে যাচ্ছেন প্রার্থীরা

0

মাসুদ হাসান বাবু ॥ শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নে দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের প্রার্থীরা। আগামী শুক্রবার এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। প্রার্থীরা দিন-রাত ছুটে চলেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ভোটের আমেজে সরগরম হয়ে উঠেছে শ্রমিকপাড়া। সর্বত্র বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা যায়, আগামী ২০ মার্চের এই নির্বাচনে ১৭টি পদের বিপরীতে ৬৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ১১টি উল্লেখযোগ্য পদের বিপরীতে ৩৫ জন এবং ৬টি সদস্য পদের বিপরীতে ২৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উল্লেখযোগ্য ১১টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের নির্বাচনী লড়াই সবচেয়ে বেশি জমজমাট হয়ে উঠেছে। শীর্ষ এই পদে কারা আসছেন সেই আলোচনায় সরব শ্রমিকপাড়া। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিদায়ী সভাপতি মামুনুর রশিদ বাচ্চু ও সাবেক দুইবারের সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু। মামুনুর রশিদ বাচ্চু গত নির্বাচনে আজিজুল আলম মিন্টুকে পরাজিত করেন। তিনি চাইচ্ছেন আবারও ভোটারদের সমর্থন নিয়ে জয়লাভ করবেন। পক্ষান্তরে আজিজুল আলম মিন্টু পুনরায় পদ ফিরে পেতে মরিয়া। একইভাবে লড়াই চলছে সাধারণ সম্পাদক পদের নির্বাচনে। যেখানে লড়ছেন বর্তমানসহ টানা তিনবার নির্বাচিত মোর্ত্তজা হোসেন ও একই পদে একাধিকবার প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সেলিম রেজা মিঠু। মোর্ত্তজা হোসেন মরিয়া পদ ধরে রাখতে আর সেলিম রেজা মিঠু মরিয়া কিভাবে প্রথমবারের মত এ পদে জয়ী হবেন। শেষ মুহূর্তের নিবাচনী প্রচারণায় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। তিন সহ-সভাপতি পদে আবু হাসান, ওমর আলী, জাহিদ হোসেন, মারুফ হোসেন, রবিউল ইসলাম লবিন, শাহেদ হোসেন জনি, শেখ আব্দুল হাকিম ও রতন অধিকারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১টি যুগ্ম সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন আসাদুজ্জামান, রবিউল ইসলাম মিন্টু গাজী, সেলিম রেজা বিপ্লব ও ষষ্টি দত্ত। এছাড়া ২টি সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে অসিত কুমার বিশ্বাস, আরশাদ আলী, কামরুল ইসলাম, মুজিবুর রহমান, রকিবুল হাসান ডাবলু, রফিকুল ইসলাম. রমজান আলী খান ও আব্দুর রহমান মিন্টু, ১টি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে টিপু সুলতান ও হারুনার রশিদ ফুলু, ১টি প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান রিপন, আবু মো. হেমায়েতুল্লাহ হৃদয়, মিজানুর রহমান মিজু, আব্দুল রহিম খাঁ বাবু, শাহাজান ও সুব্রত ঘোষ এবং ১টি কোষাধ্যক্ষ পদে আব্দুল ওয়াদুদ, আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবলু, পাটোয়ারী ও শহিদুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৬টি সদস্য পদের বিপরীতে আনোয়ার হোসেন, আবু মুসা, আশরাফ হোসেন লিটু, আসিফ খান, আসলাম গাজী, আব্দুল করিম, কামরুজ্জামান, কামাল হোসেন, আবুল কাশেম, জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান লেন্টু, জাহাঙ্গীর হোসেন, মোহাম্মদ ডাবলু, তরিকুল ইসলাম, তৌহিদুর রহমান, মিজানুর রহমান, মনিরুজ্জামান মনি, মাসুদুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, রবিউল ইসলাম, আব্দুর রউফ, আব্দুর রাজ্জাক, শিমুল বিশ্বাস, শরিফুল ইসলাম, শহিদুজ্জামান শাহী, শেখ সাগর, সাজ্জাদ হোসেন মানিক ও সিদ্দিক মিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ৩০ মার্চ যশোর সরকারি সিটি কলেজে সকাল ৮টা থেকে থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে ৯ হাজার ১৪৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সভাপতি প্রার্থী মামুনুর রশিদ বাচ্চু বলেন, বিগত নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর পুরো সময় শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করেছি নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী। তাদের অবসর ও মৃত্যুকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছি। এজন্যে এবারো ভোটাররা আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন বলে আমি আশাবাদী। তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা আজিজুল আলম মিন্টু বলেন, দল যার যার শ্রমিক এক কাতার। আমি এই নীতিতে বিশ্বাস করি। আমি এই সংগঠনের সভাপতি থাকা অবস্থায় সকলকে এক চোখে দেখেছি। রাজনৈতিক চোখে দেখিনি। আমার মেয়াদের পুরো সময়টা শ্রমিকদের সুখ-দুঃখে ব্যয় করেছি। যে কারণে শ্রমিকরা আমাকে নির্বাচিত করবেন।