এই সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না প্রমাণিত : বিএনপি প্রার্থী

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বর্তমান সরকার ও এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না তা মানুষের কাছে প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-১০ আসন উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবি। মঙ্গলবার ধানমণ্ডীর কেয়ারি প্লাজার সামনে থেকে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ভোট ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে কোনো জাতি ভালো থাকেনি। গণতন্ত্র ধ্বংস করে কোনো দেশের উন্নয়ন হয়নি। এক দলীয় শাসনব্যবস্থায় জনগণের কল্যাণ হতে পারে না। আমরা মনেকরি সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ধানের শীষের প্রার্থী বলেন, শঙ্কা পুরোভোট ব্যবস্থার ওপরেই আছে। সুষ্ঠু ভোট নিয়ে জনগণের আশঙ্কা রয়েছে, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিরও আছে। আমরা বারবার বলে আসছি এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না, হবেও না। এখন মানুষ সেটা দেখছে, মানুষের কাছে প্রমাণিত হয়েছে। মানুষ ভোট বিমুখ হয়েছে। অতএব জনগণের অনাস্থা রয়েছে। দল হিসেবে আমাদেরও অনাস্থা রয়েছে। তবে আমরা আশার জায়গার শুরু করতে চাই।
তিনি বলেন, ইসির উপর অর্পিত দায়িত্ব সাংবিধানিক। আমরা প্রত্যাশা রাখি ইসি সে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে। ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচন থেকেই সূচনা হতে পারে। সেটা হলে বিগত দিন সরকার যা করেছে মানুষ তা ক্ষমা করে দিতে পারে। আমিও প্রার্থী হিসেব স্বাগত জানাতে পারি। সেটি যদি না হয় সরকার ঘৃর্ণিত হবে, এরপর জনরোষের শিকার হবে। করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে তিনি বরেন, করোনা প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি জনগণকে সচেতন করছে। আমিও প্রার্থী হিসেবে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করছি। যে পর্যায়ে করোনা পরিস্থিতি আছে তাতে নির্বাচন পিছানো বা স্থগিত করার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। নির্বাচন কমিশন যদি নির্বাচন স্থগিত করে সেটা কিভাবে দেখবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইসি যদি নির্বাচন স্থগিত করে তা হলে জনগণ আহত হবে। নির্বাচনের বাকি মাত্র তিন দিন। তবে দেশে যদি করোনার পরিস্থিতি মারাত্মক হয়, তা হলে আমিও নির্বাচন পেছানোর পক্ষে।
স্কুল-কলেজ বন্ধ নির্বাচনের বিষয়টি ভিন্ন রয়েছে। ১০-১৫ দিন শিক্ষার্থীরা স্কুলে না গেলে সমস্যা হবে না। নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করে শপথ নিতে হবে। এর আগে সকালে ধানমণ্ডী ২৮ এর নজরুল ইন্সটিটিউটের পাশে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ভোটার স্লিপ বিতরণ করতে গেলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা তাদের মারধোর করে ভোটার স্লিপ ছিনিয়ে নেয়। এ বিষয়ে শেখ রবিউল আলম অভিযোগ করেন, ১৬ ও ১৮ নং ওয়ার্ডে গতকাল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমার দুই কর্মীকে হামলা করে আহত করা হয়েছে। আমার দুই কর্মী শাহাবুদ্দিন মোস্তফাকে বেদম মারপিট করা হয়েছে এবং হাত ভেঙে দেয়া হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট থানাকে জানিয়েছি। তারা বলেছে এ ধরণের ঘটনা আর ঘটবে না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ধানমণ্ডী থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাবিরুল হায়দার চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন সৈকত, ধানমণ্ডী থানা শ্রমিক দলের সভাপতি আবু কায়সার, তাঁতী দলের যুগ্ন আহবায়ক ড. মনিরুজ্জামান মনিরসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।