আটক ফেনসিডিল বদলে আদালতে দেয়া হল নকল, শার্শায় ওসিসহ ৫ পুলিশ ক্লোজড

0

শার্শা (যশোর) সংবাদাদাতা॥ যশোরে শার্শা থানার একটি মামলার আলামত সাড়ে ৪শ’বোতল ফেনসিডিল পরিবর্তনের ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ওসি আতাউর রহমানসহ ৫ পুলিশ সদস্যকে সোমবার কোজ করা হয়েছে। ওসি আতাউর রহমানকে পুুলিশের খুলনা রেঞ্জ কার্যালয়ে সংযুক্ত এবং অপর ৪ জনকে যশোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্তের আদেশ দেয়া হয়েছে। একই সাথে ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন শিকদারকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যশোর পুলিশের মুখপাত্র ডিএসবি’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেছেন, মামলার আলামত যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করায় তাদের কোজ করা হয়েছে। ওসি আতাউর রহমান ছাড়া অপর যে ৪ পুলিশ সদস্যকে কোজ করা হয়েছে তারা হলেন, এসআই আবুল হাসান, এএসআই আবু বক্কার সিদ্দিক এবং কনস্টেবল আব্দুল মান্নান ও ইকবাল হোসেন। এর মধ্যে এসআই আবুল হোসেন ফেনসিডিলের ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ৫ মার্চ গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শার্শা থানা পুলিশের ওসি আতাউর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম উপজেলার কামারবাড়ি মোড়ে অভিযান চালিয়ে একটি কাভার্ডভ্যান থেকে সাড়ে ৪শ’ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ সময় আটক করা হয় কাভার্ডভ্যানচালক রুহুল আমিনকে (৩৫)। তিনি শার্শা উপজেলার পোড়াবাড়ি গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে। এ ঘটনায় শার্শা থানায় একটি মামলা করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ওই মামলার আলামত সাড়ে ৪শ’ বোতল ফেনসিডিল পরিবর্তন করে সেখানে নকল ফেনসিডিল রেখে দেয়া হয়। থানার মধ্যে গোপনে এ ঘটনা ঘটে। পরে নকল এই ফেনসিডিল আলামত হিসেবে আদালতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট পুলিশের একজন কনস্টেবল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারও করেছেন বলে সূত্রটি জানায়। এদিকে মামলার আলামত ফেনসিডিল পরিবর্তনের ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ায় পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় চলছে। সূত্র জানায়, এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খ.মহিদ উদ্দিন গতকাল সোমবার এক আদেশে ওসি আতাউর রহমানকে কোজ করেছেন। তাকে শার্শা থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশের খুলনা রেঞ্জ কার্যালয়ে সংযুক্তের আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবুল হাসানসহ আরো ৪ পুলিশ সদস্যকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রত্যাহার করে যশোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্তের আদেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মামলার আলামত যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করায় কর্তৃপক্ষ ওসি আতাউর রহমানসহ ৫ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যহার করেছে। এছাড়া ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন সিদকারকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে নাভারন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরানও রয়েছেন।