খেলার খবর

0

৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব খেলা বন্ধ
স্পোর্টস ডেস্ক॥ করোনাভাইরাসের কারণে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ক্রিকেট, ফুটবলসহ সব ধরনের খেলাধুলার আয়োজন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ইভেন্ট আয়োজনও এপ্রিলের পর করতে বলেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে সভাকক্ষে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠককালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতে স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে একজন মন্ত্রী বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন যে ক্রিকেট, ফুটবল টুর্নামেন্ট হচ্ছে। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সকল ঘরোয়া খেলা আপাতত বন্ধ রাখবেন। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক কোনো ইভেন্ট যদি থাকে সেটিও এপ্রিলের পরে করার অনুরোধ করব।’ করোনাভাইরাসের কারণে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক আসর স্থগিত করা হয়েছে আগেই। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাই পর্বের ম্যাচ স্থগিত করেছে ফিফা। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঢাকায় এশিয়া একাদশ ও বিশ্ব একাদশে দুটি ম্যাচও আপাতত স্থগিত করে বিসিবি। অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন স্থগিত করে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস। এ ছাড়া আর্চারি, সাইক্লিং, ভলিবলের আন্তর্জাতিক আসর স্থগিত করা হয়। তবে ফুটবলে ঘরোয়া পর্যায়ের সর্বোচ্চ আসর ঢাকা প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ চলমান ছিল। রবিবারই শুরু হয়েছিল ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় আসর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। চলমান ছিল মেয়েদের ফুটবল লিগও। এই আসরগুলোও এখন স্থগিত থাকবে।

দুই বন্ধুর জয়ে শুরু
স্পোর্টস ডেস্ক॥ বিপিএলে একসঙ্গে একই দলে খেলেছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে কখনো এমনটা হয়নি। ২০ বছরের ক্যারিয়ারে এবার ‘দুই বন্ধু’ নাম লিখিয়েছেন একই দলে। বেছে নিয়েছেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে। যে দলের হয়ে দুই বন্ধুর ‘নতুন মিশনের’ শুরুটাও হয়েছে দারুণ। সোমবার মাশরাফী-আশরাফুলদের নিয়ে গড়া শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৫৫ রানে হারিয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে। সাভারের বিকেএসপিতে টস জিতে শেখ জামালকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় খেলাঘর। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৭৬ রান করে শেখ জামাল। জবাবে ৯ উইকেটে ২২১ রানের বেশি করতে পারেনি খেলাঘর। মাশরাফী-আশরাফুল দুজনের কেউই অবশ্য এদিন দারুণ কিছু করতে পারেননি। সৈকত আলীর সঙ্গে ওপেন করতে নেমে আশরাফুল ১৪ বলে মাত্র ৩ রানেই ফেরেন। পরে বল হাতে ১ ওভার বল করে ৯ রান ব্যয় করেন। মাশরাফী ৭ ওভার বল করে ৩৪ রান খরচায় উইকেট পাননি। তবে তার একটি ওভার ছিল ‘মেইডেন’। তার আগে ব্যাট হাতে ৭ বলে ১ রান করেন মাশরাফী। মাশরাফী-আশরাফুল দলে থাকলেও শেখ জামালকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নুরুল হাসান সোহান। অধিনায়ক সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। সৈকত আলী, নাসির হোসেনের সঙ্গে দলকে ফিফটি উপহার দেন সোহানও।সৈকত সর্বোচ্চ ৮৩ রান করে হয়েছেন ম্যাচসেরা। ৭৯ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান ডানহাতি এই ওপেনার। নাসির ৫৭ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৫৬ রান।সোহানের ব্যাট থেকে আছে ৫৮। ৬৭ বলের ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে হাঁকিয়েছেন ১ ছক্কা। খেলাঘরের পক্ষে ইফরান হোসেন সর্বাধিক ৪ উইকেট নেন। খেলাঘর জবাব দিতে নেমে সোহরাওয়ার্দী শুভ, ইলিয়াস সানি ও সালাউদ্দিন শাকিলদের বোলিংয়ে এগোতে পারেনি সেভাবে। তিনজনই নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।খেলাঘরের পক্ষে একমাত্র ফিফটি অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম অমির। ৭৮ বলে ৫ চারে ৫১ রান করেন জাতীয় দলের সাবেক ব্যাটার। জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ খেলছেন খেলাঘরে। তিনিও ছিলেন ফ্লপ। ১০ ওভার বল করে ৬৭ রান খরচায় কোনো উইকেট পাননি। ব্যাট হাতেও ৭ রানের বেশি করতে পারেননি।

পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার পর সফর স্থগিত বাংলাদেশের
স্পোর্টস ডেস্ক॥ পাকিস্তান সফর হচ্ছে না, সেটি জানা গিয়েছিল গত শুক্রবার। অপেক্ষা ছিল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। সোমবার সেই ঘোষণার সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, দুই দেশ যৌথভাবে ওয়ানডে এবং টেস্ট ম্যাচের সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।দুই দফা পাকিস্তান সফর করে আসা বাংলাদেশ দলের মার্চের ২৯ তারিখ তৃতীয়বার পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা ছিল। ১ এপ্রিল একটি ওয়ানডে এবং ৫ এপ্রিল শুরু টেস্ট দিয়ে শেষ হতো সফর। এদিন দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো মেইলবার্তায় বিসিবি বলেছে, ‘ম্যাচগুলো পরে খেলতে দুই বোর্ড এক সঙ্গে আলোচনা করবে।’ শনিবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও সফর নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা জানিয়ে দেন, ‘আমরা আশা করছি কাল-পরশুর মধ্যে ওদের সঙ্গে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে। এটা এখনো হয়নি। প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে সব জায়গায় পারিবারিক বাধা যেভাবে আসছে তাতে (সফরে যাওয়া) খুবই কঠিন।’

করোনাভাইরাস: আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ স্থগিত
স্পোর্টস ডেস্ক॥ বাংলাদেশের করোনাভাইরাসের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গেমসের আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের বিস্তারের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ-এর ২০২০ সালের চলমান আয়োজন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি অনুকূল হলে এই আয়োজন যত দ্রুত সম্ভব পুনরায় চলমান হবে। এখন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২০ সালে সাইক্লিং ও ম্যারাথনের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যেই ফুটবল, ক্রিকেট, হ্যান্ডবল, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন শুরু হয়েছে। ছেলেদের হ্যান্ডবলের ফাইনালে পৌঁছে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়। মেয়েদের হ্যান্ডবলের ফাইনালে উঠেছে গণবিশ্ববিদ্যালয় ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। টেবিল টেনিসেও ছেলে ও মেয়েদের একক, দলীয় ও মিশ্র দ্বৈতেও সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পোলার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং স্পেলবাউন্ড-লিও বার্নেটের পরিচালনায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবার মুজিববর্ষে আরো বড় পরিসরে শুরু হয়। ১০১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে এবারের আসরে প্রায় ৬ হাজারের কাছাকাছি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা নাম লিখিয়েছেন। এদের মধ্যে নারী ক্রীড়াবিদ ১২০০ জন। এবারের আসরে অ্যাথলেটিকস, ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল, সাইক্লিং, সাঁতার, হ্যান্ডবলের সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে দাবা ও কাবাডি। সব মিলে ৪২টি পৃথক পৃথক প্রতিযোগিতায় ৬৮৭টি পদকের জন্য লড়ছেন প্রতিযোগীরা।

ভারত থেকে দেশে ফেরা নিয়ে বিপাকে দক্ষিণ আফ্রিকা
স্পোর্টস ডেস্ক॥ নভেল করোনাভাইরাসের কারণে ভারত থেকে দেশে ফেরা নিয়ে ঝামেলায় পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজ বাতিল হলেও কোন শহর দিয়ে তারা ফিরে যাবেন, সেটি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ঠিক ছিল লখনউ থেকে দিল্লি হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে বিমান ধরবে প্রোটিয়াবাহিনী। কিন্তু দিল্লি হয়ে ফিরতে নারাজ ক্রিকেটাররা। তাই মঙ্গলবার কলকাতা হয়ে দেশে ফিরতে চাইছেন তারা। সেক্ষেত্রে তাদের একদিন কলকাতায় থাকতে হবে। কিন্তু যে হোটেলে তারা থাকতে চাইছেন, সেখানে রাখতে নারাজ পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বিসিসিআই জানায়, লখনউ থেকে দিল্লি হয়ে দেশে পাঠানো হবে ডি ককদের। কিন্তু দিল্লিতে যেভাবে করোনা থাবা বসিয়েছে, তাতে সেখান দিয়ে ফিরতে চাইছেন না প্রোটিয়া তারকারা। তারা জানান, কলকাতার তাজ বেঙ্গল হোটেলে একরাত থেকে পরের দিন দেশে ফিরবেন। তবে শহরের ভেতরের পাঁচতারা হোটেলে ক্রিকেটারদের থাকার প্রস্তাবে আপত্তি করছে রাজ্য প্রশাসন। সেখানকার সরকারের পরামর্শ, করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে বিমানবন্দরের কাছের কোনও হোটেলে থাকুক প্রোটিয়াবাহিনী। শেষ পর্যন্ত সিএবি জানায়, নিউটাউনের একটি হোটেলে থাকবেন ডি ককরা। ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এই হোটেলও নিমরাজি!