বৃষ্টিতে চাঙ্গা আইভরি কোস্টের কোকো উৎপাদন

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ আইভরি কোস্ট বিশ্বের শীর্ষ কোকো উৎপাদনকারী দেশ। চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে মধ্যম পর্যায়ের (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) কোকো উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন দেশটির কৃষক। তবে এ আশঙ্কা কেটেছে। দেশটির প্রধান কোকো উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোতে গত সপ্তাহে বৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ সময়ের মধ্যে দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদনে চাঙ্গা ভাব বজায় থাকতে পারে বলে মনে করছেন তারা। খবর রয়টার্স।
গত বছরের নভেম্বর থেকে আইভরি কোস্টে শুষ্ক মৌসুম শুরু হয়েছে। চলবে চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত। এ সময়ে দেশটিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ একেবারে কমে আসে। অন্যদিকে প্রতি বছরের অক্টোবর থেকে পরের বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশটির কোকো মৌসুমের প্রধান ফসল সংগ্রহ করা হয়। অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে চলতি মৌসুমের প্রধান শস্য সংগ্রহ এরই মধ্যে হ্রাস পেয়েছে। কৃষকরা আশঙ্কা করছিলেন, শিগগিরই বৃষ্টি না হলে মধ্যম পর্যায়ের ফসল সংগ্রহও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। তবে সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাতের ফলে আপাতত এ সংকট কেটেছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
দেশটির মধ্য অঞ্চলের একজন কোকোচাষী জানান, গত সপ্তাহে আইভরি কোস্টে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। তারা প্রত্যাশা করছেন এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত দেশটিতে প্রচুর বৃষ্টি হবে, যা জুন ও জুলাই ফসল সংগ্রহের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলবে। এতে সামগ্রিকভাবে চলতি মৌসুমের মধ্যম পর্যায়ের ফসল সংগ্রহ চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে। আর তা হলে পুরো মৌসুমের সম্মিলিত উৎপাদন ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠতে পারে।
এদিকে বেশ কয়েক সপ্তাহে খরা বিরাজ করার পর এ বৃষ্টিকে স্বাগত জানিয়েছে দেশটির মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষকরাও। কোকো উৎপাদনের জন্য আইভরি কোস্টের পশ্চিমাঞ্চল সবচেয়ে বেশি খ্যাত। এ অঞ্চলের একজন কৃষক জানান, অবশেষে বৃষ্টি হওয়ায় তারা দারুণ খুশি, কারণ এখন কোকো গাছ দ্রুত সতেজ হয়ে উঠতে পারবে। ফলে পণ্যটির ফলন বাড়বে।
জার্মানির ডাটাবেজ কোম্পানি স্ট্যাটিস্টার তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে দেশটিতে কোকোর সামগ্রিক উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ২১ লাখ ৫০ হাজার টনে।