স্টাফ রিপোর্টার, কেশবপুর (যশোর) ॥ যশোর-৬ কেশবপুর আসনের ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও পৌর বিএনপি নেতা প্রভাষক আলাউদ্দিন আলার বাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর ও বিএনপি নেতা আবুল কাশেমের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
শনিবার দুপুরে শহরের অনন্ত সড়কে আবেদীন মঞ্জিলে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় অবিলম্বে সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত সন্ত্রাসীদের আটকের দাবি জানান নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এর পর তিনি পৌর বিএনপির সাত নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমকে দেখতে তার বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর নেন। এ সময় নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, কোন চোরাগুপ্তা হামলা আর মারপিট করে ধানের শীষের অগ্রযাত্রা রুখা যাবে না। প্রত্যেক নেতাকর্মীকে সংগঠিত হয়ে সন্ত্রাসীদের সমুচিত জবাব দিতে হবে। প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ বলেন, ধানের শীষের নীরব ভোট বিপ্লবের ভয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা সমর্থিতরা বিএনপির নিরীহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার পথ বেছে নিয়েছে। তিনি সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাবেক মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, জাসাস খুলনা বিভাগীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান দিপু, বিএনপি নেতা শেখ শহিদুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা জাহাঙ্গীর কবীর মিন্টু, যুবদল নেতা আলমগীর সিদ্দিকী, ইব্রাহিম বিশ্বাস, ছাত্রদল নেতা ফরহাদ হোসেন প্রমুখ। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপি নেতা আবুল কাশেমকে তার শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মারপিট ও বাজার ছাড়ার হুমকি দেয়া হয়। একই রাতে শহরের অনন্ত সড়কে আবেদীন মঞ্জিলে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে চেয়ারম্যান আলাউদ্দিনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সন্ত্রাসীরা। তাদের ইটের আঘাতে ফাহিম নামে এক শিশু রক্তাক্ত জখম হয়। ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক সাবেক মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে সরকার সমর্থিতরা বারবার হামলা ও হুমকির পথ বেছে নিচ্ছে।