করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশে জনসচেতনতামূলক প্রচারণার নির্দেশ

0

বিএম আসাদ ॥ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রাজধানী ঢাকাসহ সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জরুরিভাবে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে জনসমাগম এলাকায় ব্যানার ও পোস্টার প্রদর্শন করার কথা বলা হয়েছে। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ১১ সদস্য বিশিষ্ট করোনাভাইরাস সংক্রান্ত হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট কমিটি করা হয়েছে। সংক্রামক বেড প্রস্তুত করার জন্যে হাসপাতালের সংক্রামক ওয়ার্ডটি পরিত্যাক্ত বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে।  এদিকে, চৌগাছায় একটি পরিবারের ৬ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানিয়েছেন, রেলস্টেশন, বাসটার্মিনাল, লঞ্চঘাট, বাজার ও হাসপাতালসহ যে সকল এলাকায় জনসমাগম বেশি সে সব এলাকায় নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতামূল প্রচারণা বৃদ্ধির জন্যে ব্যানার ও পোস্টার লাগানো হবে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে মেট্রোলপলিটন শহরে কমপক্ষে ৫০ হাজার, বিভাগীয় শহরে ২০ হাজার ও জেলা ও উপজেলা শহরে ৫ হাজার সচেতনতামূলক ব্যানার ও পোস্টার প্রদর্শনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সচিব শামীমা নাসরীন গত ৯ মার্চ সিভিল সার্জন অফিসসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছেন। জরুরি ভিত্তিতে আগামী দু’দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্যে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাদের চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে ১১ সদস্য বিশিষ্ট হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় সভাপতি ও আরএমও ডা. আরিফ আহমেদকে সদস্য সচিব করে গত মঙ্গলবার এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির তত্ত্বাবধানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে রোগীকে চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য নতুন ওয়ার্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। পূর্বে নির্ধারিত আইসোলেশন ওয়ার্ড ছাড়াও হাসপাতালের সংক্রামক ওয়ার্ডটি খালি করে দেয়া হয়েছে। আইসোলেশন ওয়ার্ড সংলগ্ন সংক্রামক এ ওয়ার্ডটি এখন থেকে করোনাভাইরাস ব্লক হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এ ব্লকে থাকবে ১০টি বেড। সেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হবে। ব্লকটি গতকাল সংস্কার করা হয়েছে। এদিকে, সংক্রামক ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন থাকা রোগীদের সরিয়ে পুরনো পরিত্যাক্ত ভবনের দ্বিতীয় তলায় সাবেক গাইনি ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ভবনে ছিল, গাইনি, মহিলা মেডিসিন, সার্জারি ও অর্থো-সার্জারি ওয়ার্ড।
এদিকে, যশোরের চৌগাছায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সন্নিকটে একই পরিবারের ৬ সদস্যকে নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ইতালী ফেরত এক দম্পত্তি ওই বাড়িতে আসার পর সন্দেহজনকভাবে সতর্কতামূলক এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।