বাগেরহাটে স্মার্ট মিটারে টাকা রিচার্জে বিড়ম্বনা, গ্রাহকদের অসন্তোষ

0

বাগেরহাট সংবাদদাতা॥ বাগেরহাটে স্মার্ট মিটারে টাকা রিচার্জে বিড়ম্বনার শেষ নেই গ্রাহকদের। পহেলা মার্চ থেকে মুঠোফোনের মাধ্যমে রিচার্জ যেমন বন্ধ রয়েছে, বিদ্যুৎ অফিস থেকে রিচার্জেও রয়েছে নানা ভোগান্তি। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বিরক্ত হয়ে রিচার্জের টাকার স্লিপ পেয়ে চোখ কপালে উঠছে গ্রাহকদের। কারণ আগের মত ২০ ডিজিট নয়, এখন রিচার্জ স্লিপে থাকছে ১৮০ ডিজিটের গোপন নম্বর। যা মিটারে ইনপুট করার পর চালু হবে বিদু্যুৎ। কিন্তু ১৮০ ডিজিট মিটারে ইনপুট দিতে হয়রান হচ্ছেন গ্রাহকরা। কারণ ১৮০ ডিজিট একবারে ইনপুট দেওয়া যাবে না। প্রথমে সবুজ বাটন টিপে বিশ ডিজিট দিতে হবে। বিশ ডিজিট দেওয়া শেষে আবার সবুজ বাটন টিপে নতুন করে বিশ ডিজিট দিতে হবে। এভাবে ৯ বার সঠিকভাবে ইনপুট করতে পারলে রিচার্জ হবে কাঙ্খিত টাকা। কোন গ্রাহকই একবারের চেষ্টায় মিটারে টাকা রিচার্জ করতে পারছে না। অনেকে রিচার্জ না করতে পেরে ফিরে আসছেন কর্মকর্তাদের কাছে। কেউ কেউ আবার প্রতিবেশী অভিজ্ঞ মানুষের কাছে যাচ্ছেন সহযোগিতার জন্য। এসব বিরক্তিকর কার্যক্রমের কারণে স্মার্ট মিটারের উপর এক ধরনের ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে গ্রাহকদের মাঝে।
স্মার্ট মিটার গ্রাহক লামিয়া খাতুন বলেন, প্রথমে স্মার্ট মিটার স্থাপন করায় অনেক খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু মাঝে মধ্যে খুবই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এখন এ মিটার ব্যবহার উটকো ঝামেলা মনে হচ্ছে। তিনবার ভুল হওয়ার পরে পাশের একজনের সহযোগিতা নিয়ে চতুর্থবার মিটারে টাকা রিচার্জ করতে পেরেছি। ডিজিট টিপতে টিপতে আঙ্গুল যেমন ব্যথা হয়েছে, সময়ও অপচয় হয়েছে অনেক। মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রথমে ২০ ডিজিট টিপে টাকা রিচার্জ করতাম। কিন্তু আজ বিদ্যুৎ অফিসে রিচার্জের স্লিপে ১ শ ৮০ ডিজিট দেখে মাথা গরম হয়ে যায়। নিজের অফিসে এসে ২বার ভুল করার পর তৃতীয় বার রিচার্জ করতে পেরেছি। এছাড়া আজকের রিচার্জে দেখলাম ডিমান্ড চার্জ ১০ টাকা বাড়িয়ে ৬০ টাকা করা হয়েছে। বিড়ম্বনার কথা স্বীকার করে পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ (ওজোপাডিকো) বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুল কুমার স্বর্ণকার বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে প্রত্যেক গ্রাহককে প্রথমবারে ১ শ ৮০ ডিজিট চেপে মিটার রিচার্জ করতে হবে। পরবর্তীতে এ ধরনের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আগের মতো বিশ ডিজিটে রিচার্জ করতে পারবেন। মোবাইলের মাধ্যমেও রিচার্জ করা যাবে। ওজোপাডিকোর অধীনে বাগেরহাট পৌরসভায় প্রায় ১৪ হাজার স্মার্ট মিটার গ্রাহককে এই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।