আত্মসমর্পণকারী সন্ত্রাসী হৃদয়ের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন : মুন্না খুনের পর চরম নিরাপত্তাহীনতায় ব্যবসায়ী মহল

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর শহরের বড় বাজার মাছ বাজার এলাকায় প্রকাশ্যে আড়ত কর্মচারী শেখ ইমরান হোসেন মুন্না খুন হলেও কিলারদের আজও আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় বাজারের ব্যবসায়ী মহলে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কিলাররা আটক না হওয়ায় বর্তমানে ব্যবসায়ীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এদিকে মুন্না হত্যা মামলার আসামি চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছোট হৃদয়ের আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। ৩দিন আগে ছোট হৃদয় আদালতে আত্মসমর্পণ করে।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় শহরেরর অন্যতম ব্যস্ততম বড় বাজার মাছ বাজার এলাকায় মাছের আড়ত কর্মচারী মুন্নাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। সেখানকার কোজ সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে মুন্নাকে খুনের পর ৪ কিলারের পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়ে। ফুটেজে দেখা যায়, মুন্নাকে খুনের পর কিলার পলাশ, শিমুল, ছোট হৃদয় ও রাকিব দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কিলাররা শনাক্ত হলেও তাদের কাউকে গত ১০দিনেও আটক করতে পারেনি পুলিশ। ফলে ব্যবসায়ী মহলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বড় বাজারের মাছ বাজারে সবচেয়ে বেশি মাছের আড়ত রয়েছে। এছাড়া মাছ বাজারের আশপাশে কাঁচামালের আড়তসহ বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। কেনাবেচার জন্য এখানে প্রতিদিন শ শ মানুষের সমাগম ঘটে। গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এই এলাকায় প্রকাশ্যে মাছের একজন নিরীহ কর্মচারী খুন হওয়ায় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে তারা এখন চিন্তিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, বড় বাজার কেন্দ্রিক ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সাথে জড়িত একজন গডফাদার খুনি, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের অন্যতম আশ্রয়দাতা। মুন্না খুনের সাথে জড়িত ছোট হৃদয়, রাকিব, পলাশ ও শিমুল ওই গডফাদারের লোক হিসেবে পরিচিত। বাজারের ব্যবসায়ীদের মুখে মুখে বিষয়টি এখন আলোচিত হচ্ছে। সূত্র জানায়, ওই গডফাদারের সাথে পুলিশের কোনো কোনো কর্মকর্তার সুসম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয় না। আর এরই সুযোগ নিয়ে সহযোগী সন্ত্রাসীদের নিয়ে বাজার এলাকায় অপরাধের রাজত্ব কায়েম করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গডফাদারের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে গেলে বাজারের বহু অপরাধ কমে যাবে বলে তারা মনে করেন। এদিকে যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর ফাঁড়ি পুলিশের এসআই শরিফুল ইসলাম জানান, মুন্না হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি ছোট হৃদয় গত ৪ মার্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি ৫ মার্চ আদালতে তার ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অপর আসামিদের আটকের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।