যশোরে ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশে নেতৃবৃন্দ : ভারতে মুসলিম বিরোধী তৎপরতা অবিলম্বে বন্ধ করুন

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ ভারতে মুসলিম নির্যাতন ও নরেন্দ্র মোদির বাংলাদশে আগমনের প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন যশোর জেলা শাখা। শহরের দড়াটানা ভৈরব চত্বরে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারতের মুসলমানদের রক্তে হাত রাঙিয়ে নরেন্দ্রমোদী কিছুতেই বাংলাদেশে আসতে পারে না। এদেশের উলামা মাশায়েকের জীবন দিয়ে হলেও তা প্রতিহত করবে। বক্তারা বলেন, ভারতে মুসলিম বিদ্বেষী নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করায় মুসলমানদের শহীদ করা হয়েছে। বহু পরিবার তাদের নিখোঁজ সদস্যদের আজও খোঁজ পাননি। মর্গেও তাদের লাশের সন্ধ্যান মেলেনি। মসজিদ ভেঙে গেরুয়া পতাকা উড়িয়েছে সে দেশের উগ্র হিন্দুরা। এর ভেতরেও শান্তির ধর্ম ইসলাম ধর্মাবলম্বী মুসলমানরা সেদেশে মন্দির পাহারা দিয়েছে। বক্তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ভারত দেশ স্বাধীনে সহযোগিতা করেছে। এ ঘটনাকে আমরা স্বাগত জানাই। মুজিববর্ষকে স্বাগত জানাই। কিন্তু দিল্লিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর দু’সপ্তাহ অতিবাহতি হতে না হতেই নরেন্দ্রমোদী রাষ্ট্রীয় অতিথি হয়ে বাংলাদেশে আসবে, এটা হতে দেয়া হবে না। তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশের আকাশে উড়তে দেয়া হবে না। বক্তারা বলেন, ভারতে এনআরসির নামে লক্ষ লক্ষ মুসলমানকে বাস্তহারা করার অপকৌশল বাস্তবায়িত হচ্ছে। তারই সূত্র ধরে ভারতে মুসলমানদের ওপর হামলা, গণহত্যাসহ মসজিদ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে বানরের ছবি টাঙানো হয়েছে। এ কাজে পুলিশ সহযোগিতা করেছে। এটি নিছক ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। এটি আন্তর্জাতিক মুসলিম নিধনের একটি অংশমাত্র। সুতরাং এর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে মানবতাবাদী সকল গণমানুষ ও সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী শুক্রবার জুম্মা নামাজ শেষে সকল মসজিদে ভারতের মুসলমানদের জন্যে দোয়া মাহফিল এবং শনিবার থানায় থানায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামী আন্দোলন যশোর জেলা শাখার সভাপতি মিয়া মো. আব্দুল হালিম প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক সোয়াইব হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহফিজুল আলম, মো. সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মো. আলী সরদার, দপ্তর সম্পাদক আশিক বিল্লাহ, মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ।