সম্পদের খোঁজে দুদক

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত ও গ্রেপ্তার শামীমা নুর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমনের আয় বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। গত বৃহস্পতিবার সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও গতকাল উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজকে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়। দুদকের একটি সূত্র মানবজমিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করে। অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে সংস্থাটি এক চিঠিতে এ নির্দেশনা জারি করে। উপ-পরিচালক মির্জা জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, জাল টাকা ব্যবসা, বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয় করে বিদেশে পাচারসহ আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। চিঠিতে আরো বলা হয়, অনুসন্ধান কার্যক্রমে দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন তদারককারীর দায়িত্ব পালন করবেন। গত ২২শে ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাপিয়াসহ চারজনকে র?্যাব গ্রেপ্তার করে। পরদিন সকালে রাজধানীর ইন্দিরা রোডে পাপিয়ার বাসায় অভিযান চালায় সংস্থাটি।
সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়। অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখা, জাল টাকা সরবরাহ, মাদক ব্যবসা এবং অনৈতিক কাজের অভিযোগে তিনটি মামলা করে র‌্যাব। বিমানবন্দর থানা ও শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা আলাদা তিনটি মামলায় পাঁচ দিন করে গ্রেপ্তারকৃতদের ১৫ দিন রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। শনিবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রতারণা, অবৈধ অর্থ পাচার, জাল টাকা সরবরাহ, মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে শামীমা নুর পাপিয়াকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে যুব মহিলা লীগ। পাপিয়া ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব জানায়, সুনির্দিষ্ট কোনো পেশা না থাকা সত্ত্বেও পাপিয়া ও তার স্বামী স্বল্প সময়ে বিপুল সম্পত্তি ও অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন। ফার্মগেটে দুটি ফ্ল্যাট, নরসিংদী শহরে দুটি ফ্ল্যাট ও দুটি দুই কোটি টাকা দামের প্লট, বিলাসবহুল ৪টি গাড়ি এবং বিএফডিসির সামনে কার এক্সচেঞ্জ নামে একটি গাড়ির শোরুম রয়েছে তাদের। কার এক্সচেঞ্জ শোরুমে পাপিয়ার এক কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। নরসিংদী শহরে কেএমসি কার ওয়াস অ্যান্ড অটো সলিউশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে ৪০ লাখ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে তাদের। এছাড়া দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে নামে ও বেনামে অ্যাকাউন্ট খুলে বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন আসামিরা।