মণিরামপুরে পিঁয়াজ ৩৫ টাকা!

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ যশোরের মণিরামপুর বাজারে কমেছে পিঁয়াজের দাম। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমে প্রায় অর্ধেকে দাঁড়িয়েছে।
শুক্রবার যে পিঁয়াজের কেজি ছিল ৭০ টাকা রোববার সেই পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫/৪০ টাকায়। রোববার উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
হঠাৎ পিঁয়াজের দাম কমায় সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরলেও অসস্থিতে আছেন চাষিরা। নিত্য দর পতনে লোকসান গুনতে হচ্ছে কোনো কোনো ব্যবসায়ীকে।
ভারত হঠাৎ পিঁয়াজ রফতানির ঘোষণা দেয়ায় দর পতন হয়েছে বলে কৃষি অফিস ও ব্যবসায়ীদের দাবি। তবে কোনো ব্যবসায়ী বলছেন, বাজারে ব্যাপক হারে নতুন পিঁয়াজ আসায় দাম কমেছে।
ক্রেতা হৃদয় হোসেন জানান, তিনি ৪০ টাকায় এক কেজি পিঁয়াজ কিনেছেন। অথচ কয়েকদিন আগেও তিনি পিঁয়াজ কিনেছেন ৭০ টাকায়। পিঁয়াজের দাম কমায় খুশি এই ক্রেতা।
গৃহিণী জান্নাতুল ফেরদৌসী সুইটি বলেন, গত শুক্রবার এক কেজি পিঁয়াজ কিনেছি ৭০ টাকায়। দাম কমায় এবার মানুষ শান্তিতে পিঁয়াজ খেতে পাবরে।
মণিরামপুর কাঁচা বাজারের বিক্রেতা আক্তার হোসেন বলেন, গতকাল ৪৫ টাকা করে কেনা পিঁয়াজ আজ (রোববার) দশ টাকা লসে ৩৫ টাকায় বেচতে হচ্ছে। ভারতের পিঁয়াজ ঢোকায় দাম এমন কমেছে বলে জানান তিনি। তবে, মণিরামপুর বাজারে কোনো দোকানে ভারতীয় পিঁয়াজের দেখা মেলেনি।
মেসার্স সরদার সবজি ভান্ডারের মালিক আব্দুল মান্নান বলেন, রোববার ৩৫ টাকা কেজিতে পিঁয়াজ বিক্রি করেছি। এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ৫৫-৬০ টাকা।
এদিকে দাম কমে যাওয়ায় পিঁয়াজ তোলা বন্ধ করে দিয়েছেন কৃষকেরা। চালুয়াহাটি এলাকার কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, এবার এক একর জমিতে পিঁয়াজ লাগিয়েছিলাম। ৫-৭ কাটা পিঁয়াজ তুলেছি। দাম কমে যাওয়ায় তোলা বন্ধ করে দিয়েছি।
মণিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার বলেন, এবার মণিরামপুরে ২৯৫ হেক্টর জমিতে পিঁয়াজের চাষ হয়েছে; যা লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি। পিঁয়াজের ফলনও হয়েছে ভালো। এখনো সেভাবে নতুন পিঁয়াজ তোলা শুরু হয়নি। ভারত পিঁয়াজ রফতনির ঘোষণা দেয়ায় দামের এ অবস্থা। পিঁয়াজের কেজি ২০ টাকা করে হলেও কৃষকের লোকসান হবে না বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।