১৮ বছরের যুদ্ধের অবসান, ভারতের উপস্থিতিতে মার্কিন-তালিবান শান্তিচুক্তি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ উদ্যোগটা দু-তরফেই শুরু হয়েছিল। আরও আগেই হয়তো দু-পক্ষের ‘সন্ধি’ হয়ে যেত। কিন্তু, সেই প্রক্রিয়া চলাকালীন আফগানিস্তানে তালিবানি হিংসায় ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে এসেছিলেন। ফলে ভেস্তে যেতে বসেছিল গোটা প্রক্রিয়া। অনিশ্চয়তার সেই মেঘ কেটে পূর্ব ঘোষণা মতোই শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০) দোহায় সম্পন্ন হল আমেরিকা-তালিবান শান্তিচুক্তি।
এই চুক্তি সইয়ের সঙ্গেই আফগানিস্তানে ১৮ বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হতে চলেছে। চুক্তিতে সই করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত জালমে খালিজাদ ও তালিবান ডেপুটি লিডার মোল্লা আব্দুল ঘানি বরদর। চুক্তির সময় উপস্থিত ছিলেন মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও।
চুক্তিপত্রের ঘোষণা অনুযায়ী, আফগানিস্তান থেকে ধীরে ধীরে সেনা সরিয়ে নেবে আমেরিকা। এক মাসের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হবে ৮৬০০ ট্রুপ। ১৪ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সমস্ত মার্কিন সেনা সরে যাওয়ার কথা। আমেরিকার সঙ্গে এই চুক্তি সই হওয়ার পর, আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবে তালিবানরা। আমেরিকা ও তালিবানের মধ্যে এই শান্তিচুক্তির আগে শুক্রবার বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলাকে কাবুল পাঠানো হয়েছিল। শ্রিংলা জানান, আফগানিস্তান সরকার ও সাধারণ মানুষের প্রতি ভারতের সমর্থন অটুট থাকবে।
আফগান প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘনির সঙ্গে সাক্ষাতে শ্রিংলা জানান, আফগানিস্তানের গণতন্ত্র ও সুরক্ষার প্রশ্নে ভারত পাশে থাকবে। বাইরের কোনও দেশের মদতে সেখানে হিংসা বন্ধের আর্জিও জানায় নয়াদিল্লি। এখানে বাইরের দেশ বলতে পাকিস্তানকে বলা হয়েছে। ভারতের বিদেশ সচিব আফগানিস্তানের চিফ একজিকিউটিভ আবদুল্লা আবদুল্লার সঙ্গেও দেখা করেন। কাবুলে আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়। দোহায় আমেরিকা-তালিবান শান্তিচুক্তির সময় ভারতের প্রতিনিধিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯৮ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। ১৮ বছর আগে আফগানিস্তানে গিয়েছিল মার্কিন সেনা। ৯/১১-র হামলাকারী সন্ত্রাসবাদীদের খুঁজে বের করার জন্যই তাদের পাঠানো হয়েছিল।