কেশবপুরে ইজিবাইকসহ আটক ব্যক্তি মণিরামপুরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত

0

স্টাফ রিপোর্টার, মনিরামপুর (যশোর) ॥ যশোরের কেশবপুরে ছিনতাই করা ইজিবাইকসহ আটক ব্যক্তি পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে মণিরামপুর উপজেলার বেগারিতলায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নুরুল হক ওরফে কেরু ডাকাতের বিরুদ্ধে কেশবপুর ও মণিরামপুর থানায় দায়ের করা ১৪টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। সে মনিরামপুরের ভোজগাতির মৃত মাজেদ গাজী বক্সের ছেলে। পুলিশের দাবি নুরুল হক কেরু আন্তঃজেলা ডাকাত দলের একজন সক্রিয় সদস্য ছিল। দীর্ঘদিন ধরে সে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল।
মনিরামপুর থানার ওসি (সার্বিক) রফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরার বারুইহাটা থেকে দুইটি ইজিবাইক ছিনতাই করে পালানোর সময় কেশবপুর উপজেলার বগামোড়ে স্থানীয় জনতার হাতে ধরা পড়ে কেরু ও তার সহযোগী শফিকুল ইসলাম। শফিকুল ইসলাম সাতক্ষীরা জেলার জয়নগর গ্রামের আনছার আলীর ছেলে। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাাসাবাদে কেরু অস্ত্র এবং তার অন্যান্য সহযোগীর নাম প্রকাশ করে। ওই রাতেই অস্ত্রের সন্ধানে কেশবপুর থেকে পুলিশের একটি টিম কেরু ও শফিকে সাথে নিয়ে মনিরামপুরে আসে। রাত তিনটার দিকে কেশবপুরের ওই টিমের সাথে অভিযানে যোগ দেয় মনিরামপুর থানা পুলিশের একটি টিম। মনিরামপুর থানার এসআই জহির রায়হান জানান, ভোজগাতী ইউনিয়নের বেগারিতলা বাজারের উত্তরপাশে নার্সারির সামনে পৌঁছাতেই রাস্তার পাশে ওৎপেতে থাকা কেরুর সহযোগীরা পুলিশকে ল্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ মাটিতে পড়ে থাকা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নুরুল হক কেরুর মৃতদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া সেখান থেকে পুলিশ এক রাউন্ড গুলিভর্তি ওয়ান শুটারগান এবং চারটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করে। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কেরুর লাশ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতলের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। ওসি রফিকুল ইসলাাম জানান, এ ঘটনায় কেশবপুর থানার এসআই দিপক কুমার এবং এসআই ফজলে রাব্বি বাদী হয়ে মনিরামপুর থানায় পৃথক দুইটি মামলা করেছেন।