যশোরে র‌্যাবের বিরুদ্ধে সড়কের প্রকৌশলীসহ ৩ জনকে প্রহার ও মেশিন ভাঙচুরের অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গতকাল বুধবার যশোরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে হামলায় আহত হয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তরুন কুমার দত্তসহ ৩ জন। এ সময় একটি এস্কেভেটর মেশিন ভাঙচুর করা হয়। র‌্যাব সদস্যরা এই হামলা চালিয়েছেন বলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছেন। তবে র‌্যাব বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ যশোরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুন্নবী জানান, তারা এদিন (বুধবার) ঢাকা রোড বিএমসি কলেজের সামনে থেকে মুড়লি পর্যন্ত সড়কের দু পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। দুপুর একটার দিকে অবৈধ স্থাপনার আওতায় আসায় তারা বকচর হুশতলায় র‌্যাব অফিসের সামনে প্রাচীর ভেঙ্গে দেন। এরপর তারা দুপুরের খাবার খেতে যান। এ ঘটনার পর বিকেল তিনটার দিকে ফের উচ্ছেদ অভিযান শুরুর জন্য তাদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তরুন কুমার দত্ত এস্কেভেটর মেশিনের চালকদের খোঁজ করতে র‌্যাব অফিসের সামনে যান। এ সময় ওই অফিসের ভেতর থেকে আচমকা কয়েকজন র‌্যাব সদস্য বেরিয়ে এসে তাদের এস্কেভেটর মেশিন ভাঙচুর করেন। মারধর করা হয় তাদের দুজন গাড়িচালক প্রতাপ ও অমৃতকে। প্রতিবাদ করায় র‌্যাব সদস্যরা উপ-সহকারী প্রকৌশলী তরুন কুমার দত্তকেও মারধর করেন। এছাড়া র‌্যাব সদস্যরা গাড়িচালক প্রতাপকে ধরে নিয়ে যান। খবর পেয়ে উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বে থাকা তাদের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অনিন্দিতা রায় সেখানে গেলে তাকে গালিগালাজ করা হয়। তিনি আরো জানান, পরে তাদের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন এসে র‌্যাব অফিস থেকে গাড়িচালক প্রতাপকে উদ্ধার করেন। সূত্র জানায়, আহতদের হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদিকে রাতে নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেনের সরকারি মোবাইল ফোন নম্বরে কয়েক দফা কল দেয়া হয়। কিন্তু তিনি রিসিভ না করায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যোগাযোগ করা হলে র‌্যাব-৬ সিপিসি-৩ যশোর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার এএসপি সোহেল পারভেজ হামলা প্রসঙ্গে বলেন, এ অভিযোগ সঠিক নয়। এর আগে সকালে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে সড়ক ও জনপথ বিভাগরে সিনিয়র সহকারী সচিব অনিন্দিতা রায় জানান, উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য যশোর-খুলনা মহাসড়কের মণিহার সিনেমা হল এলাকা থেকে মুড়লি মোড় পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তা চার লেন করা হবে। এজন্য অনেক আগেই এ সড়কের দুপাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সড়কের এই অংশে প্রায় ৫শ অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এসব স্থাপনা সরিয়ে নিতে মাইকিং করা ছাড়াও ১৫ দিন আগে নোটিশ দেয়া হয়। আজ সকাল থেকে এসব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে অভিযান শুরু করা হয়েছে। আগামীকালের (আজ) মধ্যে সব স্থপনা উচ্ছেদ করা হবে।