সংবাদ সম্মেলনে ভবদহ অঞ্চলে নদী খনন ও টিআরএম বাস্তবায়নের দাবি

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ ভবদহ অঞ্চলে জরুরিভাবে নদী খনন ও টিআরএম বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হরি রিভার বেসিন পানি কমিটি ও ভবদহ পানি নিষ্কাশন আন্দোলন কমিটির নেতৃবৃন্দ। গতকাল বেলা ১১টায় যশোর প্রেসকাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পানি নিষ্কাশন আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক এনামুল হক, বাবলু ৩ দফা দাবি জানিয়ে বলেন, বিল কপালিয়া টিআরএম বাস্তবায়নে আইডব্লিউএমএ’র স্ট্যাডির ওপর ভিত্তি করে যে প্রকল্প চালু হয়েছিল তা যথাশীঘ্র বাস্তবায়ন করতে হবে। জলাবদ্ধতার তীব্রতা প্রশমনে বিকল্প পথ হিসেবে আমডাঙ্গায় অবস্থিত রোজীপুর খাল খনন জরুরি হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে খাল খননে অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের সহজে ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা ও আনুসাঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করে যথাযথ নাব্যতা বজায় রাখতে হবে। বর্ধিত হারে পলি জমে হরি, মুক্তেশ্বরী ও টেকা নদী ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশনের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে আগামী বর্ষা মৌসুমে এলাকায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া হরি নদীর বর্তমান যে অবস্থা তাতে টিআরএম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় জোয়ারের পানি কপালিয়া বিলের ভেতর প্রবেশ করতে পারে না। এ পরিস্থিতিতে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নস এবং কপালিয়া বিলে টিআরএম বাস্তবায়নে অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি এবং জরুরি কর্মসূচির আওতায় হরি, টেকা ও মুক্তেশ্বরী নদী খনন করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর আয়তনের এ এলাকায় ৫ শতাধিক গ্রাম রয়েছে। যেখানে ২০ লক্ষাধিক লোকের বসবাস। এ এলাকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে হরি- টেকা, মুক্তেশ্বরী, ভদ্রা ও হরিহর নদী। প্রশাসনিক দিক দিয়ে যশোর জেলার মনিরামপুর, কেশবপুর, অভয়নগর, খুলনার ডুমুরিয়া ও সাতক্ষীরার তালা উপজেলার অন্তর্গত। ২০১৩ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক একটি মহাপরিকল্প প্রণয়ন করা হয়। যার আলোকে বিল কপালিয়ায় টিআরএম প্রকল্প চালু হয়েছিল। ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক উক্ত প্রকল্প থেকে টিআরএম বাদ দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পানি কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম, হরিবেসিন কমিটির সভাপতি অ্যাড. কামরুজ্জামান, ভবদহ পানি নিষ্কাশন কমিটির বিষ্ণুপদ দে, শেখর চন্দ্র রায়, মনোহরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান, আব্দুল মান্নান, বিকাশ চন্দ্র রায়, অধ্যক্ষ আব্দুল মতলেব সরদার, নেহালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুস সাদাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।